ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামলে বিগত ১৬ বছর জাতীয় নির্বাচন এলেই মনোনয়ন বাণিজ্য করাই ছিলো নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গণহত্যাকারী ওবায়দুল কাদেরের প্রধান কাজ। শুধু কি জাতীয় নির্বাচন? ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে, উপজেলা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা মেয়র, সবখানেই নিজ দলীয় সমর্থন বা মনোনয়নের নামে কাউয়া কাদের খ্যাত ওবায়দুল কাদের করেছেন হাজার হাজার কোটি টাকার মনোনয়ন বাণিজ্য। তবে সেদিন তো ফুরিয়েছে হাসিনা পালিয়েছে কাউয়া কদেরও শিয়ালের গর্তে ঢুকেছে। এরপরও থেমে নেই ওর দুর্নীতি আর অর্থ লোপাট। এবার কাউয়া কদের ফ্যাসিস্ট হাসিনার সাথে কথা বলিয়ে দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে নিষিদ্ধ দলটির নেতা-কর্মীদের কাছে, সম্প্রতি এমন চাঞ্চল্যকর তথ্যই উঠে এসেছে ভারতীয় একটি প্রথম সারির গণমাধ্যমে। এ যেনো ঠিক চোরের উপর বাটপারি!
একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্য অনুযায়ী ফ্যাসিস্ট হাসিনা ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে ভারতে পালিয়ে যাবার পর থেকেই তার নিষিদ্ধ দল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সাথে যোগাযোগের একমাত্র নির্ভরযোগ্য বাহন হয়ে উঠেছে সামাজিক মাধ্যম টেলিগ্রাম। এই সোশ্যাল মিডিয়াটিতে বেশ কয়েকটি গ্রুপ রয়েছে ফ্যাসিস্ট দলটির। যে গ্রুপগুলো সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করেন গণহত্যাকারী স্বৈরাচার ওবায়দুল কাদের।
এসব গ্রুপে প্রতিদিনই রাত ৯টার পর শুরু হয় মিটিং। যেখানে ষড়যন্ত্র করা হয় আওয়ামী লীগের ফিরে আসার প্রক্রিয়া নিয়ে। এসব এক একটা গ্রুপে একসাথে ২৫ থেকে ৪০ হাজার পর্যন্ত আওয়ামী সন্ত্রাসীরা যুক্ত রয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছে দলের কেন্দ্রীয় নেতা, জ্যেষ্ঠ নেতা, সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক মন্ত্রী, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা। যেসবের আবার নেতৃত্ব দেন ফ্যাসিস্ট হাসিনা নিজে আর পিছন থেকে সব কিছু সমন্বয় করেন কাউয়া কাদের। সমন্বয় করেন বলতে, আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে কে কতক্ষণ এসব আলোচনায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনার সাথে কথা বলবেন তা নির্ধারণ করেন। ভারতের একটি সংবাদ মাধ্যমকে সম্প্রতি নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাবেক এক মন্ত্রী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কথায় আছে ‘ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে’। বিষয়টি যেনো ঠিক তেমনি। এখন হাতে ক্ষমতা নেই, তাই মনোনয়ন বা চাঁদা বানিজ্যেরও কোন অপশন নেই কাউয়া কাদেরের। তাই বলে নিজ দলীয় নেতাদের কাছে ফ্যাসিস্ট হাসিনার সাথে কথা বলিয়ে দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা লোপাট?
নির্ভরযোগ্য সূত্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, টেলিগ্রামে হওয়া প্রতিদিনের এসব মিটিংয়ে হাসিনা আর কাদের মিলে দায়িত্ব ভাগ করে দেন কে কখন কোথায় কিভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে দেশকে বিশৃঙ্খল করে তুলবে। আর ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে দেশে ফেরানোর নয়া সব ষড়যন্ত্রের পসরা এসব এক একটা ভার্চুয়াল মিটিং। যদিও সব কিছুকে ছাপিয়ে এখন আলোচনায় কাউয়া কাদেরের অমানুষের মত করা সেই অর্থ বাণিজ্য।
আরও পড়ুন:








