জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ অভিযোগ করেছেন, “মাইলস্টোনের ঘটনাকে পুঁজি করে আওয়ামী লীগ আবার পুনর্গঠিত হচ্ছে।” তিনি বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, এই রাষ্ট্র আবার সেই দানবীয় শক্তিকেই ফিরিয়ে আনতে চায়।”
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে জুলাই পদযাত্রা-পরবর্তী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “এই রাষ্ট্রে স্বাভাবিক মৃত্যুর কোনো নিশ্চয়তা নেই। রাস্তায় বের হলে বাসের নিচে চাপা পড়ে মরতে হয়, হাসপাতালে গেলে চিকিৎসার অভাবে মারা যেতে হয়। বিমান, লঞ্চ—সবখানেই মৃত্যু ওত পেতে আছে। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমরা চাই—এই রাষ্ট্রে যেন অন্তত স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা থাকে।”
স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্দশা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, “পূর্ববর্তী শাসকরা আমাদের ভঙ্গুর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উপহার দিয়েছে। অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে বলতে হয়—সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন ইংরেজিতে অনার্স, বর্তমান মন্ত্রী বাংলায় অনার্স। অথচ দেশটিতে কি কোনো দক্ষ চিকিৎসক ছিল না যাদের দিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরিচালনা করা যেত?”
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন—এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ হোসেন, সদস্যসচিব আক্তার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দীন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন এবং যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আশরাফ মাহদি।
এর আগে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জেলা শহরের রেলগেট এলাকা থেকে পদযাত্রা শুরু করেন এনসিপি নেতৃবৃন্দ। দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে পদযাত্রায় অংশ নেন দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের দুই মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
বক্তারা সব রাজনৈতিক দলকে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ঐক্যে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “দেশ বাঁচাতে হলে এখনই ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের সময়।”
আরও পড়ুন:








