গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠন ও কারা এই সরকারের প্রধান হবেন সেই ইস্যুতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী একমত হয়ে যাওয়ার কারণে অন্য দলের নতুন প্রস্তাব চাপা পড়ে গেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের ১৭তম দিনের আলোচনার বিরতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
রুবেল বলেন, ‘বিগত কিছুদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে একটা প্রস্তাব এসেছিল বিচার বিভাগকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান আকারে না রাখা’। এখানে যুক্তি ছিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচার বিভাগ থেকে রাখা হলে তখন বিচার বিভাগ দলীয় করণের ঘটনা ঘটতে পারে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, তত্ত্বাবধায়কে রাষ্ট্রপতিকে রাখা হলে কি হয় সেটা আমরা অতীতে দেখেছি, ১/১১ সরকারের আবির্ভাব ঘটেছে। ফলে বিগত দিনে এখানে একটা ঐকমত্যের জায়গা এসেছিল যে, বিএনপি বিচার বিভাগ না রাখার বিষয়ে ঐকমত্য করেছিল এবং জামায়াত রাষ্ট্রপতিকে না রাখার কথা বলেছিল।
আবুল হাসান রুবেল জানান, কমিশনের প্রস্তাব ছিল, প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা এবং দলীয় প্রধান এক ব্যক্তি হতে পারবেন না। এক্ষেত্রে অধিকাংশ দল একমত হয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান একজন হতে পারবেন না। তবে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা একজন হতে পারবেন। তাই এখানে যাদের ভিন্ন মত আছে, তারা সেই ভিন্নমত রেখে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন:








