জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে ‘জুলাই দ্রোহ’ কর্মসূচির আওতায় বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির গাইবান্ধা জেলা শাখা।
সোমবার (২১ জুলাই) বিকেলে গাইবান্ধা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌরপার্ক হয়ে দাস বেকারি মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিলে ‘বুকের ভিতর অনেক ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর’, ‘বৈষম্যের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘জুলাই সনদ দিয়া দাও, নইলে গদি ছাইড়া দাও’—সহ বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রশিবির গাইবান্ধা জেলা সভাপতি মো. ফেরদৌস সরকার রুম্মান।
এ সময় তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জুলাই আন্দোলনের শহীদ ও আহত পরিবারের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা এবং দ্বিতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের স্বীকৃতি দিয়ে এই জুলাই মাসের মধ্যেই “জুলাই সনদ” ঘোষণা করতে হবে।’
গাইবান্ধা জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছে ও যারা মদদ দিয়েছে, তাদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। যারা রক্তাক্ত ইতিহাসের দায় নিয়ে এখনো রাজনীতি করছে, তাদের পুনর্বাসনের চেষ্টার বিরুদ্ধেও কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কারে একটি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে। পাশাপাশি ঢাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তাঁদের জন্য দোয়ার আহ্বান জানাই।’
গাইবান্ধা শহর শাখার সভাপতি হুমায়ুন ফারহান সাদিকের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা সেক্রেটারি ইউসুফ আল কারযাভী, অর্থ সম্পাদক ফাহিম মণ্ডল, সাহিত্য সম্পাদক মিজানুর রহমান, স্কুল কার্যক্রম সম্পাদক নুরাহী সাগর, আইন সম্পাদক মো. আরিফুল ইসলাম, সাবেক জেলা সেক্রেটারি ফররুখ আহমেদ, সাবেক শিক্ষা সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও গাইবান্ধা সরকারি কলেজ সভাপতি শাকিল আহমেদ।
বক্তারা বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের চেতনা নিয়ে বৈষম্যহীন দেশ গড়তে সবাইকে সততা, দক্ষতা ও দেশপ্রেমে বলীয়ান হয়ে এগিয়ে আসতে হবে। ফ্যাসিবাদীদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচার সম্পন্ন করতে হবে।’
একই সঙ্গে সব রাজনৈতিক দলকে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানান তারা।
আরও পড়ুন:








