মঙ্গলবার

১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১ পৌষ, ১৪৩২

চার মাস আগে মৃত্যু, তবুও মামলায় ৫৫ নম্বর আসামি

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১ জুলাই, ২০২৫ ১০:৫৩

আপডেট: ২১ জুলাই, ২০২৫ ১০:৫৫

শেয়ার

চার মাস আগে মৃত্যু, তবুও মামলায় ৫৫ নম্বর আসামি
ছবি বাংলা এডিশন

সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর চার মাস পরও একটি মামলায় আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রোকন ফারুকী। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এলাকাজুড়ে বিস্ময় ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

রোকন ফারুকী তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের হিমনগর গ্রামের বাসিন্দা ও মৃত আজিজ ফারুকীর ছেলে। গত ২৪ মার্চ তিনি সিরাজগঞ্জ শহরে যাওয়ার পথে হরিনচড়া বাজার এলাকায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তাঁর মৃত্যুর খবর সে সময় একাধিক জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

এরপরও গত ১৯ জুলাই তাড়াশ থানায় এক হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাঁকে ৫৫ নম্বর আসামি করা হয়। মামলার বাদী মো. শাহীন বাবু ১০৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১২০–১৫০ জনকে আসামি করে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগে বলা হয়, গত ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে খালকুলা এলাকায় এক কর্মসূচিতে অংশ নিতে গিয়ে বাদী হামলার শিকার হন।

রোকনের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি এলাকাবাসী এবং সংশ্লিষ্ট সকলের জানা। তাঁরা বিষয়টি 'দুঃখজনক ও অবিবেচনাপ্রসূত' উল্লেখ করে বলেন, “মৃত ব্যক্তিকে মামলার আসামি করা এক ধরনের অবহেলা ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতা।”

এ মামলার প্রথম সাক্ষী মো. মোরসালিন বলেন, “আমি এ মামলার বিষয়ে কিছুই জানি না। আমার নাম যেন ব্যবহার করে বিভ্রান্তি না ছড়ানো হয়।”

অন্যদিকে, মামলার বাদী মো. শাহীন বাবুর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও তাঁর মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, “সম্ভবত বাদী ভুলবশত নামটি দিয়েছেন। তদন্তে প্রমাণ হলে মৃত ব্যক্তির নাম বাদ দেওয়া হবে। কাউকে হয়রানি করা হবে না।”

এ ঘটনায় মামলা গ্রহণ প্রক্রিয়ায় দায়িত্বশীলতা ও তথ্য যাচাইয়ের ঘাটতির বিষয়টি সামনে এসেছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। আইন বিশ্লেষকরাও বলছেন, এমন ঘটনা ন্যায়বিচার প্রক্রিয়ার ওপর জনআস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।



banner close
banner close