সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে জামায়াতে ইসলামীর ভাড়া করা ট্রেন থেকে এক দম্পতিকে জোরপূর্বক নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দলটির কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ সময় ভিডিও ধারণ করতে গেলে দৈনিক কালবেলা-এর উপজেলা প্রতিনিধি আমিরুল ইসলাম হেনস্তা ও লাঞ্ছনার শিকার হন।
জানা গেছে, শনিবার (১৯ জুলাই) সকালে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় জাতীয় সমাবেশে অংশ নিতে জামায়াতে ইসলামী সিরাজগঞ্জ জেলা শাখা ‘সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস’ নামে একটি আন্তঃনগর ট্রেন সম্পূর্ণ ভাড়া নেয়। সকাল সাড়ে ৬টায় জামতৈল রেলস্টেশনে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে থাকাকালে স্থানীয় এক ব্যক্তি স্ত্রীসহ ট্রেনে ওঠেন। তবে ট্রেনটি জামায়াতের কর্মসূচির জন্য সংরক্ষিত জানিয়ে তাঁদের জোরপূর্বক নামিয়ে দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তি জানান, “আমাদের এলাকার এক মাওলানা বলেছিলেন ট্রেনটি জামতৈল থেকে যাবে, তাই স্ত্রীসহ উঠে পড়ি। কিন্তু কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাদের জোর করে নামিয়ে দেওয়া হয়।”
ঘটনার সময় ভিডিও ধারণ করতে গেলে সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম বলেন, “একপর্যায়ে ৩০-৪০ জন জামায়াত কর্মী আমাকে ঘিরে ধরে। পরিচয় দেওয়ার পরও তাঁরা তা উপেক্ষা করে। আমার স্মার্টফোন কেড়ে নিয়ে ভিডিও ডিলিট করে এবং গালিগালাজ করে। কেউ কেউ ফোন হাতে নিয়ে নিশ্চিত হয় ভিডিও পুরোপুরি মুছে গেছে কিনা। ট্রেন ছাড়ার আগ মুহূর্তে ফোন ফেরত দিয়ে হুমকি দিয়ে চলে যায়।”
এ বিষয়ে উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যক্ষ আতাউর রহমান মুঠোফোনে বলেন, “এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। আমি ঢাকায় অবস্থান করছি, ফিরে গিয়ে বিষয়টি দেখবো।”
সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম বলেন, “ঘটনাটি আপনার মাধ্যমেই জানলাম। সাংবাদিক ছবি তুললে বাধা দেওয়ার অধিকার কারও নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি এবং সংশ্লিষ্টদের জানাব।”
ঘটনাটি নিয়ে এখন পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:








