বুধবার

১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২ পৌষ, ১৪৩২

সেই আনিছুর রহমান কে অব্যাহতি দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী

সুজন মাহমুদ, কুড়িগ্রাম

প্রকাশিত: ১৮ জুলাই, ২০২৫ ১৮:২২

আপডেট: ১৮ জুলাই, ২০২৫ ১৮:৩৭

শেয়ার

সেই আনিছুর রহমান কে অব্যাহতি দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী
ছবি বাংলা এডিশন

কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলার মো. আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে ভুয়া স্কুল খুলে প্রতারণা এবং মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবির অভিযোগ ওঠার পর বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এনিয়ে "বাংলা এডিশন" এর অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়ায় ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ধারাবাহিক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, আনিসুর রহমান উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ও উপজেলা পর্যায়ের জামায়াত নেতা। তিনি একটি ভুয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে অন্তত ২১টি পরিবারকে অর্থনৈতিকভাবে নিঃস্ব করেছেন। এছাড়াও, 'বাবু' নামের এক ব্যবসায়ীর মামলার ভয় দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এনিয়ে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশের পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আজ শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টায় প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি জানায়, মো. আনিসুর রহমান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কোনো নেতা নন। তিনি বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের একজন সাধারণ কর্মী মাত্র।

সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে তাকে সংগঠনের দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও, কুড়িগ্রাম জেলা আমিরের নির্দেশক্রমে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা ইতোমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তাদের বিবৃতিতে বলেন, দলটি একটি আদর্শবাদী ও শৃঙ্খলাবদ্ধ সংগঠন। সংগঠনের কোনো নেতা বা কর্মী যদি নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত হন, তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং ভবিষ্যতেও নেওয়া হবে। এ নীতির আলোকে আনিসুর রহমানকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এবিষয়ে রাজীবপুর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আজিজুর রহমান বাংলা এডিশন-কে বলেন, নিউজ হওয়ার পর বিষয় টি জেলা জামায়াতের নজরে আসলে জেলা আমীর ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় আনিছুর রহমান কে সংগঠন থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এবং তদন্ত কমিটির তদন্ত চলমান রয়েছে। চুড়ান্ত প্রতিবেদন পেলে তাকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য জেলায় সুপারিশ করা হবে।"



banner close
banner close