ঐতিহাসিক জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের স্মরণে এবং সেই অধ্যায়ের গুরুত্ব নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে স্মৃতিচারণমূলক প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার ১২টি স্থানে একযোগে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণে আয়োজনে ব্যাপক সাড়া পড়ে।
প্রদর্শনীতে শহিদদের ছবি, আলোকচিত্র, তথ্যচিত্র, ব্যানার ও ভিডিও ডকুমেন্টারির মাধ্যমে অভ্যুত্থানের পটভূমি, শহিদদের আত্মত্যাগ এবং তাদের আদর্শ তুলে ধরা হয়। আয়োজনটি তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ইতিহাস সচেতনতা ও দেশপ্রেম জাগাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
প্রদর্শনীর স্থানগুলো হলো—
বেলকা ইউনিয়নের একতা বাজার ও বেলকা বাজার,
রামজীবন ইউনিয়নের বালারছিড়া বাজার ও ডোমেরহাট বাজার,
সোনারায় ইউনিয়নের ছাইতানতলা বাজার,
দহবন্দ ইউনিয়নের ধুমাইটারী চান্দের মোড়,
ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের চৌধুরী বাজার ও নতুন বাজার,
তারাপুর ইউনিয়নের চৈতন্য বাজার ও ইমামগঞ্জ বাজার,
সর্বানন্দ ইউনিয়নের নয়ারহাট এবং
বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা বাজার।
প্রদর্শনী দেখতে আসা বেলকা ইউনিয়নের ৬৫ বছর বয়সী আব্দুল হাকিম বলেন, “আমি বিভিন্ন সময়ের আন্দোলনের সাক্ষী। কিন্তু এমন বাস্তবধর্মীভাবে ইতিহাস তুলে ধরার প্রয়াস আগে দেখিনি। এটি অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং শিক্ষণীয় উদ্যোগ।”
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রশিবির সভাপতি সোহান ইসলাম বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থান ছিল একটি ঐতিহাসিক বাঁকবদলের প্রতীক। আমরা চাই নতুন প্রজন্ম শহিদদের ত্যাগ ও আদর্শ জানুক, বুঝুক এবং তা থেকে অনুপ্রাণিত হোক।”
তিনি আরও বলেন, “এই আয়োজন কেবল অতীত স্মরণ নয়, বরং ন্যায়, সততা ও সাহসিকতায় গঠিত একটি প্রজন্ম গড়ার প্রচেষ্টা।”
উল্লেখ্য, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ‘জুলাই জাগরণ, নব উদ্যমে বিনির্মাণ’ এই প্রতিপাদ্যে ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারা দেশে প্রদর্শনী, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিলসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। উদ্দেশ্য—শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা, হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি এবং একটি ঐক্যবদ্ধ, সচেতন ও ন্যায়ের পথে দৃঢ় প্রজন্ম গড়ে তোলা।
আরও পড়ুন:








