কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলায় বাবু মিয়া নামের এক পার্টস ব্যবসায়ী কে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজীবপুর উপজেলা শাখা কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় করা মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মো. আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে।
চাঁদা চওয়ার অডিও এবং ভিডিও বাংলা এডিশনের সাংবাদিকের কাছে এসেছে৷ ওই অডিও তে জামায়াত নেতা আনিছুর রহমান কে বলতে শোনা যায়, বাবু শোনো তোমার বিষয়ে আমাকে ফোন দিয়েছিল অফিসার, আমি বলছি ও আমার ছোট ভাই, আমি বিষয় টা দেখবো। আর আপনাদের বিষয়টাও আমি দেখবো। তুমি জরুরি আমার সাথে দেখা কর। তোমার যদি একটা পশমের (চুল) ক্ষতি হয় আমি রাজীবপুরে দ্বিতীয় দিন আর মুখ দেখাবো না।
অন্য একটি ভিডিও তে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করছেন জামায়াত নেতা আনিছুর রহমান। ওই ভিডিও তে বলতে শোনা যায়, ২,৪,৬ মাসের মধ্যে জামিন পাবা না ঘর ভাঙা মামলায়। দুই দিনের জন্য হলেও জেল হবে। এতো কিছুর দরকার আছে? এখন তুমি কি করবা তুমি করবা আমি বলছি, ওসি আমাকে বলছে আপনি ওটা ম্যানেজ করেন, আমি বলছি কি করা লাগে করতেছি। ওসি বলছে যে আমাকে ৫০ হাজার টাকা দিবেন। আয়ু আর অফিসার আছে এদের ২-৪ হাজার টাকা আপনি দিয়েন। পরে বলছি সরি আমি পরবো না এতো বিগ এমাউন্ট, যদি কোনো দায়িত্ব থাকতো তাহলে আমি বলতে পারতাম ওর তো বড় কোনো দায়িত্ব নাই।
অডিও-ভিডিও ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে ব্যবসায়ী বাবু মিয়া বাংলা এডিশন-কে বলেন, জামায়াত নেতা আনিস আমাকে মামলা ও পুলিশের ভয় দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাইছে।
তিনি আরও বলেন, আমি একজন ব্যবসায়ী, আমি কোনো রাজনৈতিক দলের লোক না। আমি কোনো রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িতও না। অনেক আগে থেকেই আমি রাজীবপুর বাজারে ব্যবসা করে আসছি। এরইমধ্যে ৫ আগষ্টের পর আনিছুর রহমান যে-সব কীর্তিকলাপ ঘটিয়ে রাজীবপুর জামায়াতের অফিস ভাঙার বিষয় নিয়ে আমাকে যে তান্ডব চালাচ্ছে সেটা হলো, পুলিশ কে টাকা দিতে হবে তা না হলে তোর নামে মামলা হবে। এমন ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার কাছে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা করছে। আমি ওই কয় মাস দোকান খুলতে পারিনি। স্ত্রী-সন্তান না খেয়ে দিন পার করেছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আনিছুর রহমান। তিনি মুঠোফোনে বাংলা এডিশন-কে বলেন, আমি এধরনের কোনো কিছু দাবি করতে পারি না। আল্লাহর ওয়াস্তে আমি এধরনের দাবি করিও নাই। তিনি দাবি করে আরও বলেন, এটা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত হিংসার কারণেই এরকম করতেছে আমি মনে করি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে রাজীবপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম মুঠোফোনে বাংলা এডিশন-কে বলেন, এবিষয়ে কিছু জানি না। আনিসের সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নাই। আর আমরা কি কারণে আনিসের কাছে টাকা চাইবো। আপনি ভালো করেই জানেন আনিছুর চিটার, আনিছুর চিটারি কাজ করে বেড়াচ্ছে।
অন্য একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, যে আমাদের নাম ভাঙিয়ে টাকা চেয়েছে তার নামে ওই ভুক্তভোগীকে অভিযোগ দিতে বলেন।"
আরও পড়ুন:








