বুধবার

১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২ পৌষ, ১৪৩২

একই নেতা দুই দলের কমিটিতে: আশুগঞ্জে এনসিপির তালিকা ঘিরে সমালোচনার ঝড়

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি :

প্রকাশিত: ১৪ জুলাই, ২০২৫ ১৪:০৬

শেয়ার

একই নেতা দুই দলের কমিটিতে: আশুগঞ্জে এনসিপির তালিকা ঘিরে সমালোচনার ঝড়
ছবি সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঘোষিত ২৫ সদস্যবিশিষ্ট উপজেলা সমন্বয় কমিটিতে আওয়ামী লীগের একজন নেতা অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে দেখা দিয়েছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা।

এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন এবং দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে আমিনুল ইসলামকে প্রধান সমন্বয়কারী এবং যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে জয়ন্তী বিশ্বাস, আনিসুল ইসলাম, সুমন মৃধা, মোস্তফা হাবিব ও সুফিয়ান আজাদকে রাখা হয়েছে। কমিটির মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে তিন মাস অথবা পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠন পর্যন্ত।

কমিটিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন শরীফপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য নবি হোসেন। তাঁকে এনসিপির কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে—একটি দলের সক্রিয় নেতাকে ভিন্ন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে কীভাবে জায়গা দেওয়া হলো?

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নবি হোসেন বলেন, “আমি আওয়ামী লীগের ওই কমিটি গ্রহণ করিনি। নির্বাচনের সময় এক আত্মীয় আমার নাম দিয়েছেন। এটি কতটুকু অনুমোদিত, সেটাও জানি না।”

আওয়ামী লীগের শোভাযাত্রায় তাঁর অংশগ্রহণ সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমি এলাকায় ব্যবসা করি। সামাজিক কারণে ডাকা হলে উপেক্ষা করা কঠিন।”

এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী আমিনুল ইসলাম বলেন, “নবি হোসেন আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে থাকলেও জুলাই আন্দোলনে আমাদের পাশে ছিলেন। তিনি একাত্মতা প্রকাশ করে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন, এজন্য তাঁকে কমিটিতে রাখা হয়েছে।”

তিনি দাবি করেন, “যে আওয়ামী লীগ কমিটিতে নবি হোসেন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আছেন, সেটি ভুয়া।”

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ এটিকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে দেখলেও, কেউ আবার এটিকে আদর্শিক দ্বন্দ্ব ও দলীয় শৃঙ্খলার লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যায়িত করছেন।



banner close
banner close