দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দুর্ভিক্ষের আলামত দেখতে পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, দেশের চলমান এই সংকট নিরসনে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ ভোটের অধিকার ফিরে পেলে সব সমস্যার সমাধান হবে। আর দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে মানুষ কাউকে ছেড়ে দেবে না।
শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে এক দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি। পরে সংগঠনের সভাপতি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল কুদ্দুসের রোগ মুক্তি কামনায় দুঃস্থদের মাঝে জায়নামাজ বিতরণ করেন বিএনপির এই মুখপাত্র।
কলকারখানা সচল রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, আজকে প্রায় অসংখ্য গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, মানুষ কর্মহীন হচ্ছে। গার্মেন্টস ও কারখানাগুলো যেন বন্ধ না হয়। সরকার এটাকে নানাভাবে টেকওভার করতে পারে। যেসব দোসর ব্যাংকের হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রশাসক নিয়োগ করে চালাতে পারে সরকার।
তিনি বলেন, দেশে অর্থনীতির অবস্থান করুণ পরিস্থিতি। জনগণ মনে করে আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে দেশে দুর্ভিক্ষ হয় কিনা? কর্মসংস্থান বৃদ্ধি না করতে পারলে জনগণ কিন্তু ছেড়ে দেবে না। দুর্ভিক্ষের আলামত তৈরি হলে কেউ-ই কিন্তু রেহাই পাবে না। এতে গণতন্ত্রের চর্চা মুখ থুবড়ে পড়বে এবং আমরা একটা দীর্ঘস্থায়ী অগণতান্ত্রিক শক্তির কাছে জিম্মি হয়ে পড়ব।
সংস্কারের নামে জনগণকে বিভ্রান্ত না করে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘বিএনপি সংস্কারবিরোধী নয়। বিএনপি চায় সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন ও গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা। বিএনপির ৩১ দফার মধ্যে প্রায় সব সংস্কারই প্রতিফলিত হয়েছে। জুলাই সনদদের অনেক বিষয় বিএনপি গ্রহণ করেছে। যখন গণতন্ত্রের স্বার্থে, রাষ্ট্রের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে তখনই সংস্কার করে সেই আইন প্রণয়ন হবে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, জিয়া পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি ড. শফিকুল ইসলাম, মহাসচিব ড. এমতাজ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আব্দল্লাহহিল মাছুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম, সদস্য সচিব মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ।
আরও পড়ুন:








