বুধবার

১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২ পৌষ, ১৪৩২

ঢাকায় নির্বাচনি শোডাউন করতে চায় জামায়াতে ইসলামী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৮ জুলাই, ২০২৫ ১১:৩১

আপডেট: ৮ জুলাই, ২০২৫ ১৩:১৫

শেয়ার

ঢাকায় নির্বাচনি শোডাউন করতে চায় জামায়াতে ইসলামী
ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ঢাকায় বিশাল জনসমাগম ও শোডাউন করতে চায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সেই লক্ষ্যে আগামী ১৯ জুলাই ঢাকা চলো কর্মসূচি’র মাধ্যমে রাজধানীতে বিশাল জমায়েত করার পরিকল্পনা রয়েছে দলটির। ওইদিন সাত দফা দাবিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ ডেকেছে জামায়াতে ইসলামী।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চব্বিশের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর ছোটখাটো দুই-একটি সমাবেশ হলেও ১৯ জুলাই ঢাকায় জামায়াতের এটিই সবচেয়ে বড় সমাবেশ হতে যাচ্ছে। দলটির দায়িত্বশীল নেতারা জানান, সমাবেশে বিএনপি, হেফাজতে ইসলামসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।

সারা দেশের নেতাকর্মী, সাধারণ মানুষসহ ১৪ থেকে ১৫ লাখ লোক সমাগম করার টার্গেট নিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। উল্লেখ্য, এ সমাবেশ গত ২১ জুন হওয়ার কথা ছিল।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের সরকার পতনের মাত্র চার দিন আগে নির্বাহী আদেশে ‘সন্ত্রাসী সত্তা’ হিসেবে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা হয়। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে রাজনৈতিক, সামাজিক, কূটনৈতিক ও সাংগঠনিকসহ চতুর্মুখী তৎপরতায় ব্যস্ত সময় পার করছে জামায়াত। নানারকম কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন কোণঠাসা থাকা দলটি।

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের সোমবার বলেন, ‘ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ১৯ জুলাই ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জাতীয় সমাবেশ হবে সবচেয়ে বড় গণজমায়েত। কমপক্ষে ১৪ থেকে ১৫ লাখ লোকসমাগমের টার্গেট রয়েছে। কেননা, ৫ আগস্ট অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে এটিই সবচেয়ে বড় সমাবেশ। যেখানে সারা দেশের নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করবেন। একই সঙ্গে বিএনপি, হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ ফ্যাসিবাদী বিরোধী সব রাজনৈতিক দলকে সমাবেশে আমন্ত্রণ জানানো হবে।’

জানা গেছে, ১৯ জুলাইয়ের সমাবেশে সাত দফা দাবি তুলে ধরবে জামায়াত। দাবিগুলো হচ্ছে, সব গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন, প্রবাসীদের ভোট প্রদানের ব্যবস্থা এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে সমতাভিত্তিক রাজনৈতিক পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) নিশ্চিত করা।



banner close
banner close