বৃহস্পতিবার

১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২ পৌষ, ১৪৩২

দুদকের নজরে হাসনাতের অভিযোগ, করা হবে অনুসন্ধান : দুদক ডিজি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৬ জুন, ২০২৫ ২২:১৫

আপডেট: ২৬ জুন, ২০২৫ ২২:১৬

শেয়ার

দুদকের নজরে হাসনাতের অভিযোগ, করা হবে অনুসন্ধান : দুদক ডিজি
ছবি: সংগৃহীত

স্বাধীন বাংলাদেশে দুদকের চা খাওয়ার বিল এক লাখ টাকা। সম্প্রতি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এমন স্ট্যাটাস দিয়েছেন এনসিপির দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। যেখানে তিনি অভিযোগ করেন, এনসিপি নেত্রী ডা. মাহমুদা মিতুর কাছ থেকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যহতির জন্য মোবাইলে অর্থ দাবি করেন দুদকের ডিজি পরিচয়ে আক্তার হোসেন।

বিষয়টি দুদকের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ বিষয়ে সংস্থার মহাপরিচালক আক্তার হোসেন জানান, এনসিপি নেত্রী মহমুদা মিতু প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়েছেন। একই নম্বরের মাধ্যমে অর্থ দাবির বিষয়ে অন্তত চারটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

দুদক মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘এই প্রতারক চক্রের ফাঁদে কেন তিনি পা দিলেন পুরো বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দুদকের কোনো পর্যায়ের যেকোনো কর্মকর্তার যদি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টতা থাকে তাহলে অন্যান্য প্রতারকদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেয়া হয় তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।’

সম্প্রতি হাসনাত তার ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে দুদকের চা খাওয়ার বিল ১ লাখ টাকা। আপনার নামে দুর্নীতির কোন অভিযোগ না থাকলেও সেটার ক্লিয়ারেন্স নিতে আপনাকে ১ লাখ টাকা দিতে হবে। সম্প্রতি মাহমুদা মিতুর কাছে থেকে এই টাকা চাওয়া হয়েছে দুদকের ডিজি আকতার আর তার ডিডি পরিচয়ে। মাহমুদা মিতুকে বলা হয় আপনি একজন ডাক্তার, আপনার তো টাকা পয়সার অভাব থাকার কথা না, আপনি এক লাখ টাকা দিয়ে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে যান।’

হাসনাত বলেন, দুদকের সর্বনিম্ন রেট নাকি ১ লাখ টাকা। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আকতার আবার ফোন দিয়ে জানতে চায়, টাকা দিবে কি না? টাকা না দিলে নাকি খবর করে ছেড়ে দেওয়া হবে। রেড ক্রিসেন্টে মাহমুদা মিতু যোগ দিয়েছেন ৫ আগস্টের পরে। দুদক এখন তদন্ত করছে আওয়ামী লীগের সময়ের দুর্নীতি নিয়ে।

অথচ হাস্যকরভাবে আওয়ামী আমলের কর্মকর্তাদের নাম না দিয়ে তখনকার দায় চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে এখনকার লোকজনের উপর। এখানে বড় অংকের টাকার লেনদেনের সমূহ সম্ভাবনা আছে। কিছু না করাদের কাছে থেকেই যদি ১ লাখ করে নেয়, আওয়ামী লীগ আমলের কর্মকর্তাদের থেকে তাহলে কত করে নিয়েছে?

এনসিপির এই নেতা উল্লেখ করেন, দুদকের এইসব কাজকারবার এই প্রথম না। হাসিনার আমলে খালেদা জিয়াসহ বিরোধী দলের বহু নেতাকে এরা হয়রানি করেছে। অথচ আওয়ামী লীগের হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি নিয়ে এরা কিছুই বলেনি। আমরা আশা করেছিলাম, ৫ আগস্টের পর এদের মধ্যে পরিবর্তন আসবে। কিন্তু আসেনি। বরং এরা এখন চা খাওয়ার জন্য ১ লাখ করে টাকা চাওয়া শুরু করেছে। মাহমুদা মিতু সাহস করে ভিডিও করে রেখেছেন, অন্যায় ঘুষ দেন নাই, কিন্তু কত সাধারণ মানুষ এদের এই চায়ের বিল দিতে বাধ্য হয়েছে জানা নেই।



banner close
banner close