
চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির পদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরীর স্থলাভিষিক্ত নজরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত আমিরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার ( ১৩ জুন) বিকেলে নগর জামায়াতের কার্যালয়ে দায়িত্বশীল সমাবেশে দলটির কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এ ঘোষণা দেন। সমাবেশে শাহজাহান চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম-৮ আসনে এমপি পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, ভারপ্রাপ্ত আমির পদে আসা নজরুল ইসলাম বর্তমান কমিটির নায়েবে আমির। তিনি নগর জামায়াতের সেক্রেটারি পদেও ছিলেন। দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম জামায়াতের বুদ্ধিজীবী নেতা বলে পরিচিত।
শামসুজ্জামান হেলালী বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী আমির আলহাজ শাহজাহান চৌধুরীকে কেন্দ্রীয় জনশক্তিতে সংযুক্ত করা হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর নায়েবে আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলামকে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমিরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে রুকনদের মতামতে আমির নির্বাচিত করা হবে।
শুক্রবার (১৩ জুন) সকালে সাতকানিয়ায় সর্বস্তরের দায়িত্বশীলদের সমাবেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য চট্টগ্রাম-১৫ আসনে শাহজাহান চৌধুরীকে এমপি প্রার্থী ঘোষণা করেন মিয়া গোলাম পরওয়ার। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আমির আনোয়ারুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, মুহাম্মদ শাহজাহান, কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আহসান উল্লাহ ভুঁইয়া, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য ও চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক জাফর সাদেক, শ্রমিক কল্যাণের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ ইসহাক।
সমাবেশে গোলাম পরওয়ার বলেন, নির্বাচন কাছে আসলে রাজনীতির অনেক মেরুকরণ হয়, বিভিন্ন দল, জোট, সমঝোতার রাজনীতি শুরু হয়। আমরা আশা করছি, নতুন কোনো ফ্যাসিবাদের জন্ম না হোক। এদেশে আমাদের আদর্শ ও মূল্যবোধ ধ্বংস করতে না পারে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশপ্রেমিক ইসলামিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা করে একটি বৃহত্তর ঐক্যে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে ইনশাআল্লাহ। দেশপ্রেমের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধরে রাখার জন্য, জাতীয় ঐক্য রক্ষার জন্য— যেকোনো দলের সঙ্গে ঐক্য গড়তে হলে জামায়াতে ইসলামি তাতে রাজি আছে। সেসব দলের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ আলোচনা ও মতবিনিময় চলছে। আমরা আশা করি ঐক্য হয়ে যাবে, ইসলামিক অনেক দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
আরও পড়ুন: