শনিবার

১৪ জুন, ২০২৫
৩১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
১৮ , ১৪৪৬

ড. ইউনূসের সঙ্গে সমঝোতার পরামর্শ খালেদা জিয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১ জুন, ২০২৫ ১৩:২৬

শেয়ার

ড. ইউনূসের সঙ্গে সমঝোতার পরামর্শ খালেদা জিয়ার
ছবি: সংগৃহীত

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. ইউনূসের সঙ্গে বিএনপিকে কোনো ধরনের বিরোধে না জড়াতে পরামর্শ দিয়েছেন দলটির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। গত ৭ জুন, ঈদুল আজহার দিন খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতারা শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গেলে তাদেরকে এই পরামর্শ দেন তিনি।

একইসঙ্গে নির্বাচন ও সংস্কার ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে যেখানে সমস্যা রয়েছে তা আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা করতেও পরামর্শ দেন খালেদা জিয়া।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এটা বলা হয়েছে যে সমঝোতার ব্যবস্থা করেন। কারণ তাদের সঙ্গে আমাদের বিরোধ কি? তারা কি আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী নাকি?’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুজন্য সদস্য বলছেন, ‘খালেদা জিয়ার পরামর্শ হচ্ছে- নির্বাচন তারিখ ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বিএনপির বিরোধে যাওয়া ঠিক হবে না। কোনো সমস্যা থাকলে সেটা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করতে হবে। তাছাড়া ইতোমধ্যে ড. ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে সেটা আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা করে নিতেও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে তো আমাদের কোনো বিরোধ ছিল না। শুরু থেকে আমরা এই সরকারকে সহযোগিতা করে আসছি। কিন্তু বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানালে এবং অন্যান্য কয়েকটি ইস্যুতে বিএনপির ওপর কিছুটা নাখোশ হন প্রধান উপদেষ্টা। এরমধ্যে আমাদের দলের স্থায়ী কমিটির এক সদস্য ড. ইউনূসের পদত্যাগের ইস্যুতে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, তিনি পদত্যাগ করলে জনগণ বিকল্প বেছে নেবে। তার এই বক্তব্যের পর প্রধান উপদেষ্টা বিএনপির ওপর আরও বেশি অসন্তুষ্ট হন।’

এই নেতা আরও বলেন, ‘সবকিছু মিলিয়ে যখন সরকারের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব তৈরি হয়েছে সেটা ম্যাডাম বুঝতে পেরেছেন। যার কারণে তিনি সরকারের সঙ্গে বিএনপিকে বিরোধে না গিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন।’

বিএনপির নেতারা বলছেন, আগামী ১৩ জুন লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার ড. ইউনূসের সঙ্গ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকে আলোচ্য বিষয়ে আগামী নির্বাচনের তারিখের বিষয়টি প্রাধান্য পাবে। এ ছাড়া সংস্কার নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির যেসব বিষয়ে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে তা নিয়ে কথা হবে। তবে, এখানে সাম্প্রতিকালে চট্রগ্রাম বন্দর, মিয়ানমার সীমান্তে করিডোর দেয়া নিয়ে যে আলোচনা হয়েছিল বৈঠকে সময় থাকলে যেসব আলোচনা আসতে পারে।

দলটির নেতারা আরও বলছেন, সরকারের সঙ্গে বিএনপির মতপার্থক্য এখন মাত্র একটি জায়গায়। সরকার প্রধান ড. ইউনূস বলেছেন, আগামী বছরের এপ্রিল মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। আর বিএনপি দাবি জানাচ্ছি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের। এখন সেটা দুই পক্ষকে ছাড় দিয়ে এক-দুই মাস এদিক-সেদিক করতে হবে। যা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি বিগত কয়েকটি বৈঠকে বলে আসছে।

banner close
banner close