বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘প্রবাসীদের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। তাদেরকে রেমিট্যান্স যোদ্ধা বলবেন, আর নাগরিকত্বের প্রথম অধিকার ভোট দিতে দেবেন না এটা হবে না। আগামী নির্বাচনে প্রবাসীদের তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’
সোমবার দুপুরে বড়লেখা উপজেলা জামায়াতের আয়োজনে ঈদ পূর্ণমীলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘সাড়ে ১৫ বছর যারা জাতির ওপর জুলুম করলো এখনো তারা তা অব্যাহত রেখেছে। মাঝেমধ্যে তারা মাথা উঁচু করে, বিভিন্ন কথা বার্তা বলে, তছনছ করে দাও এসব বলে। এগুলোর মাধ্যমে জাতিকে অস্থির করতে চায়, আড়াই বছরের শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত খুন করলো, এতোকিছুর পর তারা অনুশোচনা করে না, জাতির কাছে মাফ চাইবে না, যা করেছে জাতির কাছে দিবালোকের মতো স্পষ্ট তার পরও লজ্জিত হয়নি, এগুলোর জন্য তাদের অনুতপ্ত হওয়া উচিত। সেইগুলো না করে তারা জাতিকে অস্থির করতে চায়।’
তিনি সেনাবাহিনীকে নিয়ে বলেন, ‘আমরা সেনাবাহিনীকে জনগণের সাথে দেখতে চাই। কোনো দলের সাথে দেখতে চাই না। সেনাবাহিনী কোনো দলের নয়। সেনাবাহিনী কোনো দলের বিপক্ষেও নয়। সেনাবাহিনী দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রহরী। সেনাবাহিনী আমাদের অহংকার।’
জামায়াত আমীর যুবকদের উদ্দেশ্য বলেন, ‘আমি যুবকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই তোমাদের নেতৃত্বের হাত ধরে বাংলাদেশ পরিবর্তন হয়েছে। সাড়ে ১৫ বছর জালিমের যাতাকলে অতিষ্ট হয়েছি, প্রতিবাদ করেছি, আন্দোলন করেছি, ফ্যাসিবাদীদের আমরা বিদায় করতে পারি নাই। আমরা একটা বিশৃঙ্খল বাংলাদেশ দেখতে চাই না, মানবিক বাংলাদেশ দেখে যেতে চাই। আগামী দিনে সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে তোমরাই ভূমিকা রাখবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এবারের ভোটে কোনো কালো শক্তি যদি তাদের হাত দিতে আসে তাহলে জুলাইতে যেভাবে কালো শক্তিদের বিতাড়িত করা হয়েছে সেইভাবে এখনো মোকাবিলা করা হবে। এবারের ভোটের লড়াই যুবকদের নেতৃত্বে হবে।’
নির্বাচন নিয়ে জামায়াত আমীর বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টার কথায় আস্থা রাখতে চাই। তিনি ইতিমধ্যে বলেছেন এপ্রিলের মধ্যখানে নির্বাচন দেবেন। তিনি যেনো জাতিকে দেয়া তার কথা রক্ষা করেন।’
আরও পড়ুন:








