রবিবার

৮ জুন, ২০২৫
২৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
১২ , ১৪৪৬

এপ্রিলে নির্বাচনের আপত্তি বিএনপির

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৮ জুন, ২০২৫ ০৮:০০

শেয়ার

এপ্রিলে নির্বাচনের আপত্তি বিএনপির
বিএনপির লোগো।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষিত সময়সীমা নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেনি বিএনপি। রমজান মাসে নির্বাচনী কার্যক্রম ও প্রচারণা নিয়ে আপত্তি আছে দলটির। তারা মনে করছে, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।

বিএনপি বারবার ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলে আসছে। যদিও প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার পর দলটি এখনো পরবর্তী করণীয় ঠিক করেনি। ঈদের ছুটি শেষে দলীয় ফোরামে এবং যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ও সমমনা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছরের এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধের যেকোনো দিন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান। তাঁর এই ঘোষণার ভিত্তিতেই নির্বাচন কমিশন উপযুক্ত সময়ে নির্বাচনের বিস্তারিত রোডম্যাপ প্রদান করবে বলেও জানান অধ্যাপক ইউনূস। তাঁর এই ঘোষণার পর বিভিন্ন দল মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

দলটির নেতারা প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণায় অন্য গোষ্ঠীর দ্বারা প্রভাবিত হওয়ারও আশঙ্কা করেছেন। তবে ডিসেম্বরে নির্বাচনের দাবিতে এ মুহূর্তে কোনো কর্মসূচিতে যাচ্ছে না বিএনপি। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল আজহার পর নির্বাচন বিষয়ে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ গতকাল শনিবার রাতে বলেন, ‘ঈদের ছুটির পর আমরা সবার (যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ও সমমনা রাজনৈতিক দল) সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করব।’

শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ শেষ হলে রাতেই স্থায়ী কমিটির সভা ডাকে বিএনপি। লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভায় প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ পর্যালোচনা করা হয় এবং আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

এদিকে নির্বাচন বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার সমালোচনা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর মতে, প্রধান উপদেষ্টা ঘোষিত নির্বাচনের সময়সীমায় জাতি হতাশ। আগামী ডিসেম্বরেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়া সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

মির্জা ফখরুলের মতে, জাতীয় নির্বাচনের জন্য এপ্রিল মাস কোনোভাবেই উপযোগী নয়। গতকাল ঈদের দিন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যে সময় (এপ্রিল মাস) নির্ধারণ করা হয়েছে, সেই সময় বাংলাদেশে নির্বাচনের জন্য সঠিক সময় নয়। এখানে (এপ্রিল মাস) প্রচণ্ড গরম, ঝড়বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থাকবে…ওই সময় রোজার পরপরই...পাবলিক পরীক্ষা আছে। সময়টা খুব চিন্তা করে দেওয়া হয়েছে বলে আমাদের কাছে মনে হয় না। এ ছাড়া নির্বাচনী প্রচারণা করতে হবে রোজার মাসে, যেটা ডিফিকাল্ট হবে।’

বিএনপি বলছে, এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন হলে আবহাওয়ার সংকট থাকবে। এ ছাড়া রমজানের মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণা ও কার্যক্রম এমন এক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে, যা নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার কারণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

banner close
banner close