
জাতীয় নির্বাচন ও জুলাই গণহত্যার বিচার নিয়ে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আমার বাংলাদেশের পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি ৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হতে পারে। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া যেতে পারে বলেও প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, প্রশাসন তার নিয়ন্ত্রণে এলেই নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন।
রবিবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মজিবুর রহমান মঞ্জু।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, প্রধান উপদেষ্টা কেন পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন—জানতে চাইলে তিনি বলেছেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া নিয়ে তিনি শঙ্কায় ছিলেন। আমরা বলেছি, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করা ও বিশেষ করে বিএনপির সঙ্গে দূরত্ব কমানোর কথা। সেই সঙ্গে সংস্কার ও নির্বাচনের কথা বলে এসেছি।
তিনি বলেন, ‘শুরু থেকেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে লিয়াজোঁ বজায় রাখতে একটি টিম গঠনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটি না করায় বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দূরত্ব হয়েছে, সেনাবাহিনীর সঙ্গেও দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় আমরা সেই লিয়াজোঁ টিমটি বানানোর পরামর্শ দিয়েছি।’
এর আগে বিকেল ৫টা ২০ মিনিটের দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় প্রবেশ করেন বিভিন্ন দলের নেতারা।
তাদের মধ্যে এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু ছাড়াও এলডিপির প্রেসিডেন্ট অলি আহমেদ, নাগরিক ঐক্য’র সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের সাবেক আহ্বায়ক খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া, জাতীয় গণফ্রন্টের সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস, ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি'র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: