
মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমকে পৃথক দুই হত্যা মামলায় ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। আদালত থেকে নামার সময় পুলিশের কড়া নিরাপত্তা বেষ্টুনীর উপেক্ষা করে মমতাজের বহনকারী প্রিজন ভ্যানকে লক্ষ্য করে অসংখ্য ডিম ও জুতা নিক্ষেপ করেন উপস্থিত বিএনপি নেতাকর্মীসহ উৎসুক জনতা।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় গাজিপুর জেলার কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পুলিশের প্রিজন ভ্যান যোগে মমতাজ বেগমকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট আর হেলমেট পরিধান করে মানিকগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়। আদালতের অভ্যন্তরে মমতাজকে এজলাসে তোলার সময় বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। এছাড়া আদালত চত্বরে বিএনপিপন্থি আইনজীবী ও দলীয় নেতাকর্মী মমতাজের ফাঁসি দাবি করে বিক্ষোভ করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজাদ হোসেন খান। তবে মমতাজ বেগমের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না বলে মানিকগঞ্জ কোর্ট (আদালতে)র ওসি আবুল খায়ের নিশ্চিত করেছেন।
ওসি আবুল খায়ের জানান, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ বিচারক মুহম্মদ আব্দুন নূর আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে তিনি চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক আইভি আক্তারের আদালতে মমতাজ বেগমের শুনানি শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে তিনি দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ওসি আরও জানান, ২০১৩ সালে সিংগাইর উপজেলার গোবিন্দল এলাকায় হরতালের সমর্থনে মিছিলে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হন। এ ঘটনায় মমতাজ বেগমকে প্রধান আসামি করে গত ২৫ অক্টোবর উপজেলার গোবিন্দল গ্রামের মো. মজনু মোল্লা বাদী হয়ে সিংগাইর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর তার নির্বাচনি এলাকা হরিরামপুর থানায় হামলা, মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগে আরেকটি মামলা রয়েছে। গত বছর ২৯ অক্টোবর হরিরামপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন মামলাটি দাযের করেন।
মমতাজ বেগমের নামে মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানায় তিনটি হত্যা মামলা এবং হরিরামপুর থানায় হামলা, মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগে করা আরেকটি মামলার প্রধান আসামি তিনি। এ ছাড়া ঢাকায় তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: