
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, পরিস্থিতি আর ঘোলাটে না করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুর্নিদিষ্ট তারিখ ঘোষণা করুন। দেশ গণতান্ত্রিক পথে যাত্রার পথ সুগম করে দিন। তা না হলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে যা মোকাবেলা করা আপনাদের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) ৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এনডিএম এর সভাপতি ববি হাজ্জজের সভপতিত্বে এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার সম্মানিত ব্যক্তিত্ব ও কূটনৈতিক জোনের অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ইসলামী আন্দোলনের আশরাফ আলী আকন্দ, লেবার পার্টিও মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, গণসংহতি আন্দোলনের জুনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের রাশেদ খান, জাগপার রাশেদ প্রধান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, দেশের জনগণের প্রধান দাবি হলো, একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন। অথচ এ সরকার অত্যন্ত সুকৌশলে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার বিষয়টি এড়িয়ে যায়। অল্প সংস্কার- বেশি সংস্কার এমন একটি বক্তব্যের বেড়াজালে যেন নির্বাচনকে আটকে ফেলা হয়েছে। এ অবস্থায় আমরা দেখছি অস্থিরতা বাড়ছে। এ সরকার কিছুই করতে পারছে না।
তিনি বলেন, এ সরকার জুলাই আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের ত্যাগের ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই আমরা এ সরকারের ব্যাপারে এখনি নেতিবাচক কিছু বলবো না। তবে জনগণ কিন্তু চুপ করে বসে নেই। তারা এ সরকারের সক্ষমতা ও যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এটা তোলাটাই স্বাভাবিক। কারণ এ সরকার প্রায় ১০ মাস হতে চললো এখনো জুলাই আন্দোলনের শহীদদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি। এটা তাদের সক্ষমতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে। অথবা এ বিষয়ে তার উদাসীন বলেও অনেকে ভাবতে পারেন। তবে করিডোর প্রদান ও বন্দর ব্যবস্থাপনার বিষয়ে তারা খুবই তৎপর।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, নির্বাচিত সরকার ছাড়া করিডোর দেয়া ও বন্দর ব্যবস্থাপনায় অন্য কাউকে নিয়োগ করার এখতিয়ার অন্য কারো নেই। এ সরকার এটা করতে পারে না।
তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার সরকার লুপাটের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে প্রায় ধ্বংস করে গেছে। এসরকার অনেক চেষ্টা করছে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নিয়ে সভা করেছে। কিন্তু দেশি-বিদেশি তেমন বিনিয়োগ এখনও হয়নি। আসলে বিনিয়োগের জন্য একটি দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। একটি গণতান্ত্রিক সরকারের প্রয়োজন। তাই দেশের অর্থনীতিকে গড়ার জন্যও দ্রুত নির্বাচন দেওয়া জরুরি। তাই আমি বলবো, বিরাজনীতিকরণ নয় দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে রাজনীতিবিদদের হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিন। দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন।
আরও পড়ুন: