বুধবার

১৪ মে, ২০২৫
৩১ বৈশাখ, ১৪৩২
১৭ জিলক্বদ, ১৪৪৬

সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠারও আগে জামায়াতের প্রতীক দাঁড়িপাল্লা : শিশির মনির

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪ মে, ২০২৫ ১৬:৫২

শেয়ার

সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠারও আগে জামায়াতের প্রতীক দাঁড়িপাল্লা : শিশির মনির
সংবাদ সম্মেলনে শিশির মনির। ছবি : সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামীর আইনজীবী মোহাম্মাদ শিশির মনির বলেছেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠা হয়েছে ১৯৪১ সালে। তখন থেকেই তাদের দলীয় প্রতীক হচ্ছে দাঁড়িপাল্লা। আর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠা হয়েছে ১৯৭২ সালে। কাজেই সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠারও আগে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে রাজনীতি করছে জামায়াতে ইসলামী। 

বুধবার  দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল ও প্রতীক বিষয়ে আপিল  শুনানি শেষে সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন তিনি। 

শিশির মনির বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এদেশের অন্যতম বড় একটি দল। সব গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এবং সংসদীয় রাজনীতিতে জামায়াতে ইসলামী অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত যে কয়টি সংসদ বসেছে, সঠিকভাবে যে কয়টা নির্বাচন হয়েছে। সব নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী জনগনের ম্যান্ডেট নিয়ে এমপি মন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু আশ্চর্যজনক বিষয় হলো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নির্বাচন কমিশন একটা নিবন্ধন ইস্যু করেন। কিন্তু বাংলাদেশের হাইকোর্ট মেজরিটি জাজমেন্টের ভিত্তিতে নিবন্ধনটি বাতিল করে। এর বিরুদ্ধে আমরা আপিল করেছিলাম। আপিল মামলা আজকে শুনানি শেষ হয়েছে। শুনানিঅন্তে আগামী ১ জুন এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, আজকে আমরা আদালতকে বলেছি জামায়াতের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার মাধ্যমে এবং কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট বাতিল করার মাধ্যেমে পলিটিসাইজিয়ান অব জুডিশিয়ারি (বিচার বিভাগ রাজনীতি করণ) করা হয়েছে। আজকে যারা এই মামলার শুনানি শেষে নিবন্ধন বাতিল করেছেন তারা মূলত বাংলাদেশের উচ্চ আদালত নিয়ে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। এ কারণে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। আমাদের এই আর্গুমেন্ট আদালত অত্যান্ত মনোযোগ সহকারে শুনেছেন। আমরা প্রত্যাশা করব এই আর্গুমেন্টের ভিত্তিতে আগামী ১ জুন জামায়াতে ইসলামী তার নিবন্ধন ফিরে পাবে।

‘একইসঙ্গে বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী নতুন উদ্দ্যমে নতুনভাবে বাংলাদেশের মানুষের সমর্থন নিয়ে মেজরিটির ভিত্তিতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। প্রতীক নিয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর একটি রেজ্যুলেশন গ্রহণ করে। এই রেজ্যুলেশনের কারণে নির্বাচন কমিশন জামায়াতের প্রতীক দাঁড়িপাল্লা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

শিশির মনির বলেন, আজকে আমরা আদালতের কাছে এ বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে বলেছি রাজনৈতিক দলের প্রতীক সুপ্রিম কোর্ট বরাদ্দ করতে পারেন না। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের। আদালত যেন এই বিষয়ে একটি অবজারভেশন দেন। নির্বাচন কমিশন যেন এ বিষয়ে উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেন। আমরা আশা করি পূর্ণাঙ্গ রায়ে এই মর্মে নির্দেশনা দেবেন।’

banner close
banner close