সোমবার

৫ মে, ২০২৫
২১ বৈশাখ, ১৪৩২
৭ জিলক্বদ, ১৪৪৬

হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে হামলা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৪ মে, ২০২৫ ২০:১৪

শেয়ার

হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে হামলা
আহত অবস্থায় ঢাকায় ফিরছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি-সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে গাড়িতে থাকা হাসনাত আহত হয়েছেন।

রোববার রাত ৭টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে এই তথ্য জানান এনসিপি মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।

তিনি লেখেন, ‘হাসনাতের গাড়িতে ১০-১২ জন সন্ত্রাসী গাজীপুর এলাকায় হামলা করেছে। গাড়ির গ্লাস ভেঙে গেছে, হাত রক্তাক্ত হয়েছে। আশপাশে যারা আছেন হাসনাতকে প্রটেক্ট করুন। ‌লোকেশন দিচ্ছি।’

বাসন থানার ওসি শাহীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘হাসনাতের ওপর হামলার খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’

উল্লেখ্য, এর আগেও হাসনাত আবদুল্লাহকে ট্রাকচাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল।

গত বছরের ২৭ নভেম্বর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এই হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটে। তখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মো. তরিকুল ইসলাম কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছিলেন।

হাসনাত-সারজিসদের সঙ্গে থাকা আহমাদ উল্লাহ সাকিব ফেসবুকে এক পোস্টে জানিয়েছিলেন, ‘শহীদ অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ ভাইয়ের কবর জেয়ারত করে ফেরার পথে আনুমানিক সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজি রাস্তার মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমের গাড়ি বহরে ট্রাকচাপা দিয়ে হত্যা চেষ্টা করা হয়। আমরা বাইক নিয়ে আটকানোর চেষ্টা করলে, আমাদেরও চাপা দেয়। আল্লাহর কৃপায় বেঁচে ফিরছি।’

মো. তরিকুল ইসলাম কালবেলাকে জানিয়েছিলেন, শহীদ অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ ভাইয়ের কবর জিয়ারত করে ঢাকায় ফিরছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম। পথিমধ্যে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজি রাস্তার মোড়ে তাদের ট্রাকচাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়।

লোহাগাড়া থানার দায়িত্বরত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আলিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে একটি আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।

banner close
banner close