
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরকারি সব অফিস-আদালত থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানোর আলটিমেটাম দিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান।
তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে প্রথম ভোট চুরির ইতিহাসের রচনাকারী। বাকশাল প্রতিষ্ঠার জনক। সুতরাং এ রকম একজন গণতন্ত্র হত্যাকারীর ছবি বাংলাদেশের সরকারি কোনো অফিসে থাকতে পারে না।
মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানোর দাবিতে গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
দলটির সদস্যসচিব ফারুক হাসান বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে গণতন্ত্র হত্যার মাধ্যমে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিলেন। তার কন্যা শেখ হাসিনা দীর্ঘ ১৬ বছর বাকশালের চূড়ান্ত পর্যায়ে এ দেশকে নিয়ে গিয়েছিলেন। আমরা সেই বাকশালের কবল থেকে বাংলাদেশকে উদ্ধার করেছি। কিন্তু বাকশালের জনক শেখ মুজিবের ছবি আমাদের মাথার ওপরে, এটা মানতে পারছি না।’
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্যসচিব তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা আর শেখ মুজিবের ছবির পূজা দেখতে চাই না। অতিদ্রুত শেখ মুজিবের ছবি সরাতেই হবে। মুজিবের চেহারা দেখিয়ে যেহেতু স্বৈরতন্ত্র কায়েম হয়েছে, মুজিবের এই ছবিটা আমরা কোনো দপ্তরে থাকতে দেব না। মুজিবের ছবি টাঙ্গিয়ে গণ-অভ্যুত্থানে শহিদদের অসম্মান করা হচ্ছে।’
মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ফয়সাল আহমেদের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. ইরান, জিয়াউর রহমান, আব্দুল্লাহ আহমেদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: