বৃহস্পতিবার

২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১০ পৌষ, ১৪৩২

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত : প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০৮:৫২

শেয়ার

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত : প্রধান উপদেষ্টা

বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বড়দিন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বাণীতে ড. ইউনূস নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশপ্রেম ও মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ধর্ম, বর্ণ ও সম্প্রদায় নির্বিশেষে সবার জন্য একটি ন্যায়ভিত্তিক, বৈষম্যহীন ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠনে নিরলসভাবে কাজ করছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ দীর্ঘকাল ধরেই ধর্মীয় সহনশীলতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এ দেশের মানুষ যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন ধর্ম, সংস্কৃতি ও আচার-অনুষ্ঠানকে সম্মান জানিয়ে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নজির স্থাপন করে এসেছে। যথাযথ মর্যাদা ও আনন্দ-উৎসাহের মধ্য দিয়ে বড়দিন উদযাপন এই সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে—এমন প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন তিনি।

বাণীতে ড. ইউনূস খ্রিষ্টান ধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিষ্টের জীবন ও আদর্শের কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এই দিনে বেথেলহেমে যিশু খ্রিষ্টের জন্ম হয়, যিনি পৃথিবীতে শান্তি, ন্যায় ও মানবমুক্তির বার্তা নিয়ে এসেছিলেন। মানবজাতিকে সত্য, কল্যাণ ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করাই ছিল তাঁর জীবনের মূল লক্ষ্য। তিনি সারাজীবন অবহেলিত, নিপীড়িত ও অনাহারক্লিষ্ট মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন এবং ক্ষমা, ভালোবাসা ও ঈশ্বরভক্তির শিক্ষা প্রচার করেছেন।

ড. ইউনূস বলেন, যিশু খ্রিষ্টের জীবনাদর্শ ও মানবিক গুণাবলি আজও তাঁর অনুসারী ও সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুকরণীয়।

শেষে তিনি খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীসহ দেশের সব মানুষের শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন এবং বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।



banner close
banner close