রবিবার

২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৬ পৌষ, ১৪৩২

ট্রেনের বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের দাবি জাতীয় কমিটির

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:৪৯

শেয়ার

ট্রেনের বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের দাবি জাতীয় কমিটির
ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রীয় গণপরিবহন ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি। একইসঙ্গে অবিলম্বে বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

রবিবার সংগঠনের সভাপতি হাজি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এক যুক্ত বিবৃতিতে সরকারের প্রতি এই দাবি জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, রেল কর্তৃপক্ষ ঢাকা-কক্সবাজারসহ পূর্বাঞ্চল রেলের ছয় রুটে ট্রেনের ভাড়া বাড়িয়েছে; যা গতকাল শনিবার থেকে কার্যকর হয়েছে। বিভিন্ন রেল সেতুর মাশুল বাড়িয়ে পূর্বাঞ্চল রেলের যাত্রীভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে হঠকারী উল্লেখ করে নাগরিক সংগঠনটির বিবৃতিতে বলা হয়, এ নিয়ে ছয় রুটে গত ১৩ বছরে পাঁচ দফা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।

জাতীয় কমিটির নেতারা বলেন, ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা কষ্টকর হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় আকস্মিক ট্রেনভাড়া বৃদ্ধির কারণে এসব রুটের নিয়মিত যাত্রীদের জীবনযাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।

উল্লেখ্য, গত শনিবার থেকে ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কার্যকর করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এ নিয়ে গত ১৩ বছরে অন্তত পাঁচ দফা ভাড়া বেড়েছে। কখনো সরাসরি, কখনো কৌশলে টিকিটের দাম বাড়িয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

এবার সরাসরি টিকিটের দাম না বাড়িয়ে পন্টেজ চার্জ বা মাশুল আরোপের মাধ্যমে এ ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে ছয়টি রুটে চলাচলরত ট্রেন ও আসনভেদে সর্বনিম্ন ৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২২৬ টাকা বেড়েছে ভাড়া।

রেলওয়ের ভাষায় রেলপথের মধ্যে কোনো সেতু বা সমজাতীয় অবকাঠামো পড়লে ভাড়ার সঙ্গে যে বাড়তি মাশুল নির্ধারণ করা হয়, তা-ই ‘পন্টেজ চার্জ’। সে ক্ষেত্রে ১০০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুকে আড়াই কিলোমিটার দূরত্ব হিসেবে বিবেচনা করা হবে। অর্থাৎ, এক কিলোমিটার লম্বা সেতুর দূরত্ব গণনা করা হবে ২৫ কিলোমিটার করে। ফলে, পথের দূরত্ব কাগজে-কলমে বেড়ে যাবে। আর সেই অনুপাতেই মাশুল আরোপ করা হয়েছে।

রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, এবার ছয়টি রুটে ১১টি সেতুতে পন্টেজ চার্জ আরোপ করা হচ্ছে। রুটগুলো হলো ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-কক্সবাজার, ঢাকা-সিলেট, চট্টগ্রাম-সিলেট, চট্টগ্রাম-জামালপুর ও ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, রেলওয়ের আয় বৃদ্ধি ও ব্যয় হ্রাস করার লক্ষ্যে গত ২৫ মে একটি বিশেষ বৈঠক হয়। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলামের উপস্থিতিতে ওই বৈঠকে রেলওয়ের টিকিটের ভাড়া বৃদ্ধি না করে কীভাবে আয় বৃদ্ধি করা যায়, সে বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয়। সভায় টিকিটের ভাড়া না বাড়িয়ে আয় বাড়ানোর বিষয়ে নেওয়া হয় ১৩টি সিদ্ধান্ত। এর মধ্যে ১ নম্বরে রাখা হয়েছে রেলের সব সেতুর মধ্যে যেসব সেতু ১০০ মিটার বা তার ঊর্ধ্বে, এতে পন্টেজ চার্জ (২৫ কিলোমিটার হিসাবে) আরোপের প্রক্রিয়া গ্রহণ। এর আলোকে নানা প্রক্রিয়া অনুসরণের পর ছয়টি রুটে বর্ধিত ভাড়া চূড়ান্ত করা হয়।



banner close
banner close