শনিবার

২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৫ পৌষ, ১৪৩২

হাদির জানাজায় নজিরবিহীন মানুষের অংশগ্রহন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:১৩

আপডেট: ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:১৯

শেয়ার

হাদির জানাজায় নজিরবিহীন মানুষের অংশগ্রহন
ছবি: বাংলা এডিশন

নিথর মরদেহ সামনে রেখে অন্তিম বিদায় জানানোর আয়োজনই মূলত জানাজা নামাজ। বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মেজর জিয়াউর রহমানের জানাজায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধারণ মানুষ উপস্থিত হয়েছিল। জানা যায়, সে সময় সারাদেশে কারফিউ জারি থাকায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পায়ে হেঁটে তার জানাজায় অংশ নিয়েছিল সাধারণ মানুষ। প্রেসিডেন্ট জিয়ার জানাজায় বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ জনসমাগমের নজির স্থাপিত হয়েছিল। প্রায় ২০ লক্ষাধিক মানুষ তার জানাজায় সমবেত হয়েছিল।

এছাড়াও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামি বক্তা ও জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর জানাজাতেও সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। পিরোজপুরে মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় তার জানাজায় পিরোজপুর ও আশপাশের জেলার লাখো মানুষ অংশ নেয়।

বাংলাদেশে মানুষ সেই একই রকম নজির স্থাপন করেছে শহীদ হাদির জানাজায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে। ওসমান হাদির জানাজা শনিবার দুপুর ২টার সময় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা জানানো হয়। তবে পূর্বনির্ধারিত সময়ের আগেই বেলা ১১টার দিকে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ।

শহীদ ওসমান হাদি ভারতীয় আগ্রাসন ও আওয়ামী লীগের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার অবস্থান নিয়ে মানুষের হৃদয় জয় করেছিলেন। যে কারণে তার জানাজায় উপস্থিত হয়ে দেশের সাধারণ মানুষ তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

শাহবাগে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে শহীদ হাদিকে সমাহিত করা হয়। সকাল সাড়ে ১১টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে তার কবর খোঁড়া হয়।

উল্লেখ্য, ভারত ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে হুংকার দেওয়া এবং জুলাই আন্দোলনের প্রথম সারিতে থাকা ক্ষণজন্মা হাদি ভারত ও আওয়ামী দোসরদের বুকে কাঁপন তুলে দিয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২ ডিসেম্বর গণসংযোগের জন্য রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গেলে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে তাকে গুলি করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর তাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় শহীদ হাদির মরদেহ দেশে পৌঁছায়।



banner close
banner close