ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ছাত্র-নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের অন্যতম নেতা শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যু সংবাদ গুরুত্বের সাথে প্রকাশ করেছে বিশ্বের প্রভাবশালী গণমাধ্যমগুলো। একই সাথে তার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়া সহিংস পরিস্থিতিও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উঠে এসেছে।
আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ২০২৪ সালের ছাত্র-নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ নেতা শরিফ ওসমান বিন হাদি চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিঙ্গাপুরে মারা গেছেন। ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হওয়ার পর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্ত্বেও তিনি তার আঘাতের কারণে মারা যান।
রয়টার্স জানায়, যুব নেতা শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়। সামনে জাতীয় নির্বাচন থাকায় এই পরিস্থিতি আরও অস্থির হয়ে উঠতে পারে বলে প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। উল্লেখ করা হয়, আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেয়ার পরিকল্পনা ছিলো হাদির।
৩২ বছর বয়সী শরিফ ওসমান হাদি ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং ছাত্র-নেতৃত্বাধীন আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। গত শুক্রবার ঢাকায় নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করার সময় মুখোশধারী হামলাকারীরা তাকে মাথায় গুলি করে। গুরুতর আহত অবস্থায় কয়েকদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতনে নেতৃত্ব দেওয়া আন্দোলনের নেতা শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর বাংলাদেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর প্রথম জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার মাত্র একদিন পরই তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ওই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি।
হাদির মৃত্যু ও তার পরবর্তী সহিংসতার ঘটনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন:








