ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে অপতথ্য এবং গুজব নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটের আগে ও পরে মোট সাত দিন বিশেষ মনিটরিং সেল এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পূর্ণাঙ্গভাবে মাঠে সক্রিয় থাকবে।
বৃহস্পতিবার এ সম্পর্কে বিস্তারিত নির্দেশনা দিয়ে একটি পরিপত্র জারি করেছে ইসি। একইসঙ্গে নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন বাহিনীর করণীয় কী হবে সে বিষয়েও নির্দেশনা দেয়া হয়।
উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেনের স্বাক্ষরিত এই নির্দেশনায় মাঠ প্রশাসনকে নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ রাখতে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে, নির্বাচনের আগে চার দিন, ভোটের দিন এবং ভোটের পরের দুই দিন—এই মোট সাত দিন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অপতথ্য মনিটরিং সেল পূর্ণ শক্তিতে কাজ করবে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ও অপতথ্য রোধে বিশেষ নজরদারি চালানো হবে। ভোটাররা যাতে কোনো প্রকার বিভ্রান্তি ছাড়া উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সেটিই ইসির মূল লক্ষ্য।
নির্বাচনী এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে এবং ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাঠামো সাজানো হয়েছে। এতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে লিড মন্ত্রণালয় হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
বাহিনী মোতায়েনের ক্ষেত্রে আরও যা যা থাকছে-
স্থায়ী ও অস্থায়ী চেকপোস্ট: গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে কড়া তল্লাশি চালানো হবে।
মোবাইল টহল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স: যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় আভিযানিক দল সদা প্রস্তুত থাকবে।
লাইভ পর্যবেক্ষণ: ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে অতিরিক্ত নিরাপত্তার পাশাপাশি সিসি ক্যামেরা এবং বডি ক্যামেরার মাধ্যমে সরাসরি পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করা হবে।
নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানিয়েছে যে, অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার এবং নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার যেকোনো অপচেষ্টা রুখতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে। প্রিসাইডিং অফিসার ও রিটার্নিং অফিসারদের চাহিদা অনুযায়ী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত সহায়তা প্রদানের নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। স্বচ্ছ ও নিরাপদ পরিবেশে ভোটারদের কেন্দ্রে আনাই এখন কমিশনের প্রধান চ্যালেঞ্জ।
আরও পড়ুন:








