সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে অভিযোগপত্র অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগপত্রে মোট ২২ কোটি টাকার বেশি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ এবং প্রায় ৮৭ কোটি টাকার সন্দেহজনক ব্যাংক লেনদেনের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অভিযোগপত্র অনুযায়ী, পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে আসাদুজ্জামান খান কামাল ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসাধু উপায়ে ২২ কোটি ৫৮ লাখ ৪০ হাজার ১৬২ টাকার সম্পদ অর্জন করেন, যা তাঁর বৈধ আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
এ ছাড়া অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি তাঁর নামে থাকা ৯টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে মোট ৮৭ কোটি ৪৬ লাখ ২৬ হাজার ৯৩৩ টাকা লেনদেন করেন। এসব লেনদেনের মাধ্যমে দুর্নীতি ও ঘুষ থেকে প্রাপ্ত অর্থের অবৈধ উৎস গোপন করতে অর্থ রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
এর আগে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত বছরের ৯ অক্টোবর আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। তদন্তে তাঁর স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খান, ছেলে শাফি মোদ্দাছির খান জ্যোতি এবং মেয়ে শাফিয়া তাসনিম খানের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
উল্লেখ্য, জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গত ১৭ নভেম্বর আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।
আরও পড়ুন:








