বৃহস্পতিবার

১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩ পৌষ, ১৪৩২

সর্বশেষ
সাবেক সেনা অফিসার ও জুলাই যোদ্ধাদের ‘চরমপন্থি গোষ্ঠী’ বলে সম্বোধন ভারতের দেউলিয়াত্বের প্রমাণ তোকে ফিরে আসতে হবে হাদি, সাংবাদিক ইলিয়াছের আবেগঘন পোস্ট দূতাবাসগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে কূটনীতিকদের আশ্বস্ত করলো সরকার রাজশাহীতে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশন কার্যালয় ঘেরাওয়ে পুলিশের বাধা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ইসির নির্দেশ হাদিকে হত্যার পরিকল্পনা; ভাড়া করা অস্ত্র নিয়ে যে তথ্য জানা গেলো জেআইসি সেলে গুম: হাসিনা ও ১২ সেনা কর্মকর্তার বিচার শুরুর আদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের খালেদা জিয়ার অবস্থা আগের মতো, গ্রহণ করতে পারছেন চিকিৎসা

হাদিকে হত্যার পরিকল্পনা; ভাড়া করা অস্ত্র নিয়ে যে তথ্য জানা গেলো

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৫:১৫

শেয়ার

হাদিকে হত্যার পরিকল্পনা; ভাড়া করা অস্ত্র নিয়ে যে তথ্য জানা গেলো
ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার পরিকল্পনায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার জানা গেল হাদিকে হত্যার মিশনে ভাড়া করা হয়েছিল অন্তত পাঁচটি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র।

এর মধ্যে দুটি অস্ত্র পালানোর সময় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ সঙ্গে নিয়ে যান। বাকি তিনটি অস্ত্র এক বন্ধুর মাধ্যমে তার বাবা হুমায়ুন কবিরের কাছে পাঠিয়েছিলেন পলাতক ফয়সাল, যেগুলো পরবর্তীতে নরসিংদীর একটি পুকুর থেকে তিনটি অস্ত্র উদ্ধার করে র‌্যাব।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ফয়সালের বোনের বাসা থেকে উদ্ধার হওয়া দুটি ম্যাগাজিন ও গুলির ব্যাগের সূত্র ধরেই অস্ত্রগুলোর অবস্থান সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়।

তাদের তথ্য অনুযায়ী, হাদিকে গুলি করার পরপরই আগারগাঁওয়ে বোনের বাসায় গিয়ে ওঠেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল। ব্যাগের ভেতর অস্ত্র থাকার বিষয়টি জানত তার বাবা, মা, স্ত্রী ও শ্যালক। অস্ত্রভর্তি ব্যাগটি রাখা হয় বাবার জিম্মায়।

গত মঙ্গলবার রাতে স্ত্রী ও মাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তারা স্বীকার করেন, অস্ত্রগুলো গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর একটি পুকুরে ফেলে দেয়া হয়েছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব পুকুর থেকে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করে।

র‌্যাবের এক কর্মকর্তা বলেন, উদ্ধার করা অস্ত্রগুলোর মধ্যে একটি শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করার কাজে ব্যবহৃত হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। অস্ত্রের ফরেনসিক পরীক্ষায় বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

র‌্যাব সূত্র জানায়, অপারেশন শেষে ফয়সাল আগারগাঁওয়ে বোনের বাসায় ফিরে আসে এবং তার বাবার কাছ থেকে অস্ত্রভর্তি ব্যাগ লুকানোর প্রস্তুতি নেয়। ওই সময় বাসায় অপরিচিত দুজন লোক গেলে তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মনে করে ভয়ে অস্ত্রসহ ব্যাগটি রান্নাঘরের জানালা দিয়ে নিচে ফেলে দেওয়া হয়। পরে জানা যায়, তারা আসলে বাসা ভাড়া নিতে এসেছেন। তখন ফয়সালের স্ত্রী নিচে গিয়ে ব্যাগটি দ্রুত বাসায় নিয়ে আসেন। তবে তখন দুটি ম্যাগাজিন ও গুলির ব্যাগ পড়ে যায়।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র আরও জানায়, ব্যাগটিতে তখনও পাঁচটি অস্ত্র ছিল। ময়মনসিংহের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার সময় নিজেদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ফয়সাল ও মোটরসাইকেলচালক আলমগীর শেখ দুটি অস্ত্র সঙ্গে নিয়ে যায়। বাকি তিনটি অস্ত্র ব্যাগে ভরে শ্যালক সিপুর মাধ্যমে এক বন্ধুর কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। সেই বন্ধু নরসিংদীর গ্রামের বাড়ির পুকুরে অস্ত্রগুলো ফেলে দেওয়ার সময় দুটি ম্যাগাজিন না থাকার কথা জানায়। এরপর বিষয়টি সিপু ফয়সালকে ফেসবুক মেসেঞ্জারে জানায়। ফয়সাল তখন সিপুকে মেসেঞ্জারে কল করে ফোনটি স্ত্রীর কাছে দিতে বলেন। এরপর তারা বাসার নিচে গিয়ে ম্যাগাজিনগুলো খুঁজতে যান।

এর আগে, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর পল্টন এলাকায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। তারপর থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন ওসমান হাদি।



banner close
banner close