বৃহস্পতিবার

১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩ পৌষ, ১৪৩২

'সংবিধানের সঙ্গে বিচার বিভাগের সম্পর্ককে জবাবদিহিমূলক করাই জুলাই বিপ্লবের লক্ষ্য'

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:৪৬

শেয়ার

'সংবিধানের সঙ্গে বিচার বিভাগের সম্পর্ককে জবাবদিহিমূলক করাই জুলাই বিপ্লবের লক্ষ্য'
ছবি: সংগৃহীত

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, সংবিধান বাতিল করা জুলাই বিপ্লবের লক্ষ্য ছিল না। সংবিধানের সঙ্গে বিচার বিভাগের সম্পর্ককে বিশুদ্ধ ও জবাবদিহিমূলক করাই অভ্যুত্থানের লক্ষ্য ছিল।

বৃহস্পতিবার অবসরের আগে আপিল বিভাগে শেষ কর্মদিবসে এ কথা বলেন তিনি।

বিদায়ী বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, গণতন্ত্রে যতদিন বিচার বিভাগের মূল্যবোধ থাকবে, ততদিন সুপ্রিম কোর্ট ন্যায়বিচার ও স্বাধীনতার শেষ আশ্রয় হয়ে থাকবে। বিচার বিভাগকে অবশ্যই বর্তমান সংবিধানের মূল কাঠামো নীতি মেনে চলতে হবে। যা ক্ষমতা পৃথকীকরণ, বিচারিক স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক শাসন, মৌলিক অধিকার এবং জনগণের সার্বভৌমত্বের মতো আদর্শগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে।

তিনি আরও বলেন, বিচার বিভাগের শক্তি কোনও একক দফতরে নয়, বরং সততা ও দূরদর্শিতার সাথে ন্যায়বিচার করার সম্মিলিত সংকল্পের মধ্যে নিহিত।

এদিকে, প্রধান বিচারপতির শেষ কর্মদিবসে আপিল বিভাগের এজলাসেই অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে তাকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেয়া হয়। এ সময় সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি, আইনজীবী, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান বলেন, প্রধান বিচারপতি রাজনৈতিক অনুকম্পায় বিচারক নিয়োগের সংস্কৃতি ভেঙেছেন। তার হাত ধরেই মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পূর্ণতায় সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, প্রধান বিচারপতি সৎ, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে সাংবিধানিকসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলা নিষ্পত্তি করেছেন।

আগামী ২৭ তারিখ অবসর যাচ্ছেন দেশের ২৫ তম প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তবে সে সময় সুপ্রিম কোর্টে অবকাশকালীন ছুটি থাকাই বৃহস্পতিবার তার শেষ কর্মদিবস ছিল।



banner close
banner close