সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে বর্বরোচিত সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় শহীদ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ সদস্যের মরদেহ আগামী ২০ ডিসেম্বর (শনিবার) ঢাকায় আনার কথা রয়েছে।
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে সেনাবাহিনী।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মরদেহগুলো দেশে আসার পর যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, ওই ভয়াবহ হামলায় আহত সব শান্তিরক্ষী বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত এবং উন্নত চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ মিশনের ‘কাদুগলি লজিস্টিকস বেইস’-এ একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী অতর্কিত ড্রোন হামলা চালায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওই হামলায় প্রাথমিকভাবে ৮ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও পরে আরও একজনের তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। ফলে মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ জনে।
আহতদের মধ্যে একজন ইতিমধ্যে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছেড়েছেন। বাকি ৮ জন চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন এবং তাঁদের অবস্থা এখন উন্নতির দিকে।
সুদানের মাটিতে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় শাহাদাতবরণকারী ৬ সেনাসদস্যের পরিচয় আগেই প্রকাশ করেছে সেনাবাহিনী। তারা হলেন- ১. কর্পোরাল মো. মাসুদ রানা, এএসসি (নাটোর) ২. সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম, বীর (কুড়িগ্রাম) ৩. সৈনিক শামীম রেজা, বীর (রাজবাড়ী) ৪. সৈনিক শান্ত মণ্ডল, বীর (কুড়িগ্রাম) ৫. মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (কিশোরগঞ্জ) ৬. লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া (গাইবান্ধা)
অন্যদিকে আহত ৯ জনের মধ্যে রয়েছেন লেফটেনেন্ট কর্নেল পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন স্তরের সদস্য। আহতরা হলেন— লেফটেনেন্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান, সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন, কর্পোরাল আফরোজা পারভিন ইতি, ল্যান্স কর্পোরাল মহিবুল ইসলাম, সৈনিক মো. মেজবাউল কবির, সৈনিক উম্মে হানি আক্তার, সৈনিক চুমকি আক্তার ও সৈনিক মো. মানাজির আহসান।
সুদানের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী হামলায় বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের আত্মত্যাগ বিশ্বশান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অঙ্গীকার ও বীরত্বের এক অনন্য নজির হয়ে থাকবে। আগামী শনিবার মরদেহগুলো বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর সামরিক প্রথা অনুযায়ী শেষ বিদায় জানানো হবে দেশমাতৃকার এই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের।
আরও পড়ুন:








