রাজধানীর বংশাল থানার এলাকা সিক্কাটুলী থেকে বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী। অভিযানে চারজন সন্দেহভাজনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে মূল আসামি রায়হান রাজ এখনও পলাতক রয়েছেন।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) গভীর রাত ৩টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযানে অংশ নেয় ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের ‘অজেয় চার’ এর আজিমপুর সেনা ক্যাম্পের একটি টহলরত দল।
সেনা সূত্র জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানা যায়, ৫ আগস্টের পর থানা থেকে লুট হওয়া একটি বিদেশি পিস্তল বংশাল এলাকায় গোপনে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে অস্ত্রটির প্রাথমিক অবস্থান হিসেবে বংশালের সিক্কাটুলী এলাকার একটি বাসস্থানের তথ্য পাওয়া যায়।
উদ্ধার অভিযান প্রথমে রায়হান রাজের বাসায় পরিচালনা করা হয়। এ অভিযানে বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এছাড়া একটি ম্যাগাজিনও উদ্ধার করা হয়। পরে থানা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে- উদ্ধার হওয়া পিস্তলটি ৫ আগস্টের পর লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত।
সেনা সূত্র আরও জানায়, রায়হান রাজ ওই এলাকার ‘বোম রায়হান গ্রুপের’একজন সক্রিয় সদস্য। অভিযানের সময় তিনি পালিয়ে যান এবং বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
পরে সিক্কাটুলী এলাকার জনৈক সামিরের বাসায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখানে বেশ কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র পাওয়া যায়। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একটি সামুরাই, একটি বড় চাকু, দুটি ছোট চাকু এবং পাঁচটি কিলার গিয়ার (স্পোকেট)।
অভিযানকালে চারজন সন্দেহভাজনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তারা হলেন মো. নিরব (২০), মো. আব্দুল হামিদ (৬০), মো. সামুন মিয়া (৩৮) এবং মো. সামির (১৮)।
সেনা সূত্র জানায়, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বংশাল থানার এসআই সৈয়দ ইয়াসির হোসেন জানান, পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে চারজনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে থানায় লুট হওয়া একটি পিস্তল এবং অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তদন্ত চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন:








