সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ১০টার দিকে কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুরসহ বিভিন্ন কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থার মধ্যে আসামিদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। প্রিজনভ্যান থেকে একজন একজন করে নামিয়ে তাদের হাজতখানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
এদিন ট্রাইব্যুনাল-১–এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে মামলার অগ্রগতি নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
যেসব আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে তারা হলেন— সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক এমপি সোলায়মান সেলিম, সাবেক এমপি ফারুক খান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, সাবেক বেসরকারি শিল্প-বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।
প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, হাসানুল হক ইনু ও পলকের বিরুদ্ধে পৃথক ফরমাল চার্জ দাখিল করা হয়েছে। ইনুর মামলায় ইতোমধ্যে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। এছাড়া জুলাইয়ের অভ্যুত্থান ইস্যুতে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে গণহত্যার অভিযোগে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ পলকের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গ্রহণ করেছে ট্রাইব্যুনাল-১। জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে। আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানের ক্ষেত্রে কারফিউ জারি করে জনতাকে হত্যার অভিযোগে দাখিলকৃত চার্জ আমলে নিয়ে শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে ১৫ অক্টোবর সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১। সেদিন প্রসিকিউশন সময় বাড়ানোর আবেদন করলে আদালত নতুন সময় দেন। ২০ জুলাইও তদন্তের জন্য অতিরিক্ত তিন মাস সময় চাওয়া হয়েছিল, যা মঞ্জুর করা হয়।
এদিকে, সকাল থেকেই ট্রাইব্যুনাল চত্বরে কঠোর নিরাপত্তা জারি ছিল। প্রবেশপথে তল্লাশি করে সবাইকে ঢোকানো হয়।
এর আগেও চলতি বছরের ২০ এপ্রিল মন্ত্রী–প্রতিমন্ত্রীসহ ১৯ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। সেদিন তদন্তে আরও তিন মাস সময় চাওয়া হয়েছিল। ২০ জুলাই নতুন দিন ধার্য করা হয়। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ১২ মন্ত্রী–প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টাসহ আরও কিছু আসামিকে আনা হয়। প্রসিকিউশন জানিয়েছে, সব মামলায় পৃথক চার্জপত্র দাখিলের প্রস্তুতি চলমান।