মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, আমরা অনেক সময় জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কথা বলে থাকি, তবে অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার ও অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার রোধে জিরো টলারেন্স নিশ্চিতে আমাদের কাজ করতে হবে। আমদানি ও রপ্তানিতে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে ডব্লিউটিও নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।
বুধবার হোটেল ওয়েস্টিনে ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশন আয়োজিত ‘ফ্লেমিং ফান্ড লেগাসি ইন বাংলাদেশ: ট্যাকলিং এএমআর থ্রু ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রোচ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বিশেষ করে এসডিজি-দুই বা ক্ষুধা দূরীকরণ নিশ্চিত করতে আমাদের দায়িত্ব শুধু খাদ্য উৎপাদনে সীমাবদ্ধ নয়। খাদ্য উৎপাদন ও প্রাণিসম্পদ খাতে অ্যান্টিবায়োটিক এবং পেস্টিসাইড ব্যবহারের সঠিক নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করাও অত্যন্ত জরুরি।
ফরিদা আখতার বলেন, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) মোকাবিলার সবচেয়ে কার্যকর উপায়। সস্তা পোল্ট্রি উৎপাদনের জন্য অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর।
উপদেষ্টা ওয়ান হেলথ কার্যক্রমের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, মানব স্বাস্থ্য, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ ও কৃষি– সব ক্ষেত্রকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। কেউ কেন্দ্রে নয়, সবাই সমানভাবে অংশগ্রহণ করবে। নিরাপদ খাদ্য, স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে তিনি সবাইকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন:








