মঙ্গলবার

২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৮ পৌষ, ১৪৩২

সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার প্রকল্পে ১৬০ মিলিয়ন ইউরো দেবে জার্মানি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০৮:৪৯

শেয়ার

সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার প্রকল্পে ১৬০ মিলিয়ন ইউরো দেবে জার্মানি
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ও জার্মানি সোমবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাডাপ্টেড ড্রিংকিং ওয়াটার রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট ঢাকা-দুই (সায়েদাবাদ ডব্লিউটিপি ফেজ-৩)’ শীর্ষক প্রকল্পের জন্য মোট ১৬০ মিলিয়ন ইউরোর দুটি পৃথক ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দুই দেশ প্রকল্পের অনুকূলে মূল ঋণের অতিরিক্ত ৭০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ চুক্তি ও ৯০ মিলিয়ন ইউরো মূল ঋণের ‘সংশোধনী চুক্তি’ সই করেছে।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শারিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং জার্মান সরকারের জার্মানির কেএফডব্লিউ ফ্রাঙ্কফুর্টের দক্ষিণ এশিয়া নগর উন্নয়ন বিভাগের প্রধান কার্লা বার্কে ও একই বিভাগের প্রিন্সিপাল পোর্টফোলিও ম্যানেজার স্টেফানি ক্লাপেনবাখ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও জনবান্ধব পানি সরবরাহ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং ভূ-পৃষ্ঠের পানির দক্ষ ব্যবহার নিশ্চিত করতে ভূ-পৃষ্ঠের পানির ওপর নির্ভরতা কমানোই হচ্ছে প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।

প্রকল্পটি স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় ঢাকা ওয়াসা কর্তৃক বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের আরডিপিপি গত ২৩ মার্চ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে।

মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ১৬ হাজার ১৪ দশমিক ৮৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দেবে চার হাজার ৫৩৬ দশমিক ১৭ কোটি টাকা, প্রকল্প ঋণ ১১ হাজার ৪৪৮ দশমিক ৬৬ কোটি টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব তহবিল ৩০ কোটি টাকা। প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল এক জুলাই ২০১৫ থেকে ৩০ জুন ২০২৯ পর্যন্ত।

আলোচ্য ঋণ চুক্তির আওতায় কেএফডব্লিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বাংলাদেশ সরকারকে অতিরিক্ত ৭০ মিলিয়ন ইউরো (আনুমানিক ৯৮৮ কোটি টাকা) ঋণ প্রদান করবে। এ অর্থ হাড়িয়ায় মেঘনা নদীর ওপর একটি অপরিশোধিত পানি গ্রহণকেন্দ্র এবং অপরিশোধিত পানি পাম্পিং স্টেশন নির্মাণ, প্রায় ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ও আনুমানিক ২ হাজার ২০০ মিমি ব্যাসবিশিষ্ট পানি পরিবহন পাইপলাইন নির্মাণ এবং পরিশোধিত পানি সরবরাহ করার জন্য প্রায় ৫৪ কিলোমিটার প্রাথমিক পানি বিতরণ নেটওয়র্ক সম্প্রসারণ ও উন্নয়নে ব্যয় করা হবে।

প্রকল্পের ৭০ মিলিয়ন ইউরো অতিরিক্ত অর্থায়নের কারণে ৯০ মিলিয়ন ইউরোর মূল ঋণচুক্তির ছাড়ের সময়সীমা পরিবর্তিত হয়ে ২০২৪ সালের ২৭ জুনের পরিবর্তে ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর হওয়ায় এবং মোট অর্থায়নের পরিমাণ পরিবর্তিত হওয়ায় মোট অর্থায়নের পরিমাণও পরিবর্তিত হয়েছে। এর ফলে ‘সংশোধনী চুক্তি’ স্বাক্ষরিত হয়েছে।



banner close
banner close