শুক্রবার

২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

যৌথ বিনিয়োগে নেপালে জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে আলোচনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ০৮:১৪

শেয়ার

যৌথ বিনিয়োগে নেপালে জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে আলোচনা
প্রতীকী ছবি

বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বিষয়ে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির সপ্তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় যৌথ বিনিয়োগে নেপালে জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর আব্দুল গণি রোডস্থ বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে আয়োজিত সভায় দুদেশের বিদ্যুৎ খাতে অধিকতর সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়। বিদ্যুৎ বিভাগ এক বার্তায় এসব তথ্য জানিয়েছে৷

স্টিয়ারিং কমিটির সভায় বাংলাদেশ ও নেপালের যৌথ বিনিয়োগে নেপালে জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, আন্তঃসংযোগ গ্রিড লাইন ব্যবহার করে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি বিষয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া, নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পরিবহন ভারতের ভূখণ্ড অতিক্রম করবে বিধায় এ বিষয়টি বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের ত্রিপক্ষীয় সমঝোতার মাধ্যমে সমাধান করা প্রয়োজন মর্মে মতপ্রকাশ করা হয়।

পাশাপাশি ভেড়ামারা অংশে বিদ্যমান এইচভিডিসি সিস্টেম ব্যবহার করে আরও ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করার ব্যাপারে এবং নেপালে জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে বেসরকারি উদ্যোগে বিনিয়োগ, শীতকালে বাংলাদেশে বিদ্যুতের চাহিদা উৎপাদন ক্ষমতার চেয়ে কম হওয়ায় এসময়ে বাংলাদেশ থেকে বর্তমান সঞ্চালন কাঠামো ব্যবহার করে নেপালে বিদ্যুৎ রপ্তানির বিষয়েও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।

বিদ্যুৎ খাতে স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি বিদ্যুতের বিশেষ আইন বাতিল করেছে। সে মোতাবেক ভারতের জিএমআর গ্রুপ নেপালে বাস্তবায়িতব্য আপার কার্নালী জলবিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুতের ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি সম্পর্কিত এলওআই বাতিল করা হয়েছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিষয়টি এ বছরের ২৮ আগস্ট জিএমআর-কে অবহিত করে।

সভায় বাংলাদেশ ও নেপালে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্প্রসারণের অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ও দক্ষতা বিনিময়ে উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতার বিষয় পর্যালোচনা করা হয়।

এছাড়া, বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত রূফটপ সোলার প্রোগ্রামের আওতায় প্রায় তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের অভিজ্ঞতা বিষয়েও নেপালের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা হয়। জ্বালানি দক্ষতা ও জ্বালানি অডিট সংক্রান্ত কার্যক্রমে নেপাল সরকারকে সহযোগিতা প্রদানের বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে।

জেএসসি সভায় বিদ্যুৎ খাতে ক্যাপাসিটি বিল্ডিংয়ের কার্যক্রম গ্রহণের বিষয়ে উভয় দেশ সম্মতি প্রকাশ করে। এসময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিপিএমআই-এর প্রশিক্ষণ সক্ষমতার বিবরণ তুলে ধরা হয়। দ্বিপাক্ষিক সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ এবং বাংলাদেশ-ভারত ও নেপালের মধ্যে ত্রিপাক্ষিক সমঝোতার বিষয়েও আলোচনা করা হয়। এর আগে বাংলাদেশ-নেপাল জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সপ্তম সভা ২৬ নভেম্বর একই স্থানে অনুষ্ঠিত হয়।

জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির সভায় বাংলাদেশের পক্ষে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ফারজানা মমতাজ এবং নেপালের পক্ষে সেদেশের বিদ্যুৎ, পানিসম্পদ ও সেচ সচিব চিরঞ্জীবী চাটৌট নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বাংলাদেশ-নেপাল জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটি ও জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের ষষ্ঠ সভা গত বছর নেপালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কমিটির পরবর্তী অষ্টম সভা ২০২৬ সালের অক্টোবরে নেপালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।



banner close
banner close