ঢাকার কেরানীগঞ্জে সাউথইস্ট ব্যাংকের আটিবাজার শাখা থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পলাতক হয়েছেন ব্যাংকের নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সোহাগ—এমন অভিযোগে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে গ্রাহকদের মধ্যে। হঠাৎ করে বহু গ্রাহকের হিসাবে টাকা নেই—এমন তথ্য ছড়িয়ে পড়লে ব্যাংক শাখার সামনে দুই দিন ধরেই উপচে পড়ে মানুষের ভিড়।
বুধবার দুপুরে একাধিক গ্রাহকের হিসাব থেকে টাকা উধাও হওয়ার খবর জানা গেলে শতশত গ্রাহক ব্যাংকে ভিড় করে নিজের একাউন্টের অবস্থা জানতে চেষ্টা করেন। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকালেও একই অবস্থা দেখা যায়। অনেকে ব্যালেন্স চেক করে স্বস্তি পেলেও শতাধিক গ্রাহক তাদের হিসাব শূন্য কিংবা অস্বাভাবিকভাবে কমে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন।
ব্যবসায়ী সুমনের ১ কোটি ১০ লাখ, নুরুদ্দীনের ৪ লাখ ৭৫ হাজার, নজরুলের ৭ লাখ ৭৩ হাজারসহ বহু গ্রাহকের টাকা উধাও হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনেকের একাউন্ট শূন্য হয়ে গেছে।
বসিলার মোক্তার হোসেন মুক্তির তিনটি একাউন্ট থেকে প্রায় কোটি টাকা লাপাত্তা—এমন অভিযোগ করেন তার মেয়ে।
এদিকে গ্রাহক আখি আক্তার বলেন, “আমার একাউন্টে টাকা ঠিক থাকলেও অন্যদের টাকা এভাবে হারিয়ে যাওয়ায় আমরা খুব দুশ্চিন্তায় আছি। যে কোনো সময় আমাদেরটাও উধাও হতে পারে।”
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সোহাগ পলাতক রয়েছেন।
ব্যাংকের অডিট ইনভেস্টিগেশন বিভাগের প্রধান রেজাউল কবির জানান—গ্রাহকদের টাকার কোনো ক্ষতি হবে না। প্রতারক সোহাগের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
সাউথইস্ট ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার কার্তিক চন্দ্র হালদার বলেন—সোহাগ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া গ্রাহকের হিসাব থেকে অর্থ উত্তোলন করেছেন। এ ঘটনায় জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে এবং বিষয়টি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ইন্টারনাল কন্ট্রোল ও কমপ্লায়েন্স বিভাগে অবহিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অডিট টিম তদন্ত শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, পলাতক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সোহাগ রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বছিলা এলাকার (হোল্ডিং নম্বর ৯৯/১) মৃত সুলতান আহমেদের ছেলে।
আরও পড়ুন:








