জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে যুক্ত হতে পারেন। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় এ নির্দেশনা দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। গতকাল রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং শিক্ষার্থীদের কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করা হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত একাধিক সদস্য জানান, কিছু শিক্ষার্থী অযৌক্তিক বিষয়ে রাস্তায় নামছে। ভোটের আগে এই আন্দোলনের মাত্রা বাড়তে পারে। কারণ হিসেবে তারা জানান, সারাজীবন দেখেছি বিসিএস পরীক্ষার সেশনজট কমানোর দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেন। এখন বিসিএস পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে কিছু শিক্ষার্থী আন্দোলন করছেন।
৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ‘যৌক্তিক সময়’ চেয়ে ট্রেন আটকে গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলন করেন ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। একই দাবিতে রাজশাহী-ঢাকা রেলপথ অবরোধ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী। গত শুক্রবার ভূমিকম্পের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণের দাবিতে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের শিক্ষার্থীরা কর্মচারীদের একটি ভবন দখল করে রাতযাপন করেন। ঢাকা কলেজে ভূমিকম্পের ঝুঁকিপ্রবণ হল সংস্কারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে শুক্রবার রাতে প্রায় এক ঘণ্টা মিরপুর-নিউমার্কেট সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। এ পরিস্থিতিতে ভূমিকম্প নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সভাটি আগামী বৃহস্পতিবার হতে পারে।
বৈঠক শেষে এক কর্মকর্তা জানান, চট্টগ্রাম বন্দর ইজারা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনকারী সংগঠনগুলো নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধের জন্যই সরকার বন্দর ইজারার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর পরও যদি কেউ কঠোর আন্দোলনে নামে, তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তা দমনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:








