বৃহস্পতিবার

১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩ পৌষ, ১৪৩২

বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে আবারো জঙ্গি নাটকে তৎপর ভারত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর, ২০২৫ ০৯:৪৬

আপডেট: ১৬ নভেম্বর, ২০২৫ ০৯:৪৯

শেয়ার

বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে আবারো জঙ্গি নাটকে তৎপর ভারত
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অনেকটাই টালমাটাল, নরেন্দ্র মোদী সরকার ও ভারতীয় গণমাধ্যম। ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে, প্রতিনিয়ত কাজ করছে মোদী ও কট্টর হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো। আর, এই লক্ষ্যে তারা মূল হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগকে।

দেশ থেকে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাবার পর থেকেই, ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছে। এই ষড়যন্ত্র এখনও চলমান রেখেছে তারা।

এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি, ঘটে যাওয়া ভারতের রাজধানী দিল্লির লালকেল্লায় গাড়ি বিস্ফোরণকে ‘জঙ্গি হামলা’ দাবি করে ভারতীয় কিছু গণমাধ্যম। আর হামলার জন্য, বাংলাদেশকে দায়ী করে লাগাতার মিথ্যা সংবাদ প্রচার করছে তারা। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর দাবি, পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই তৈয়বা এই হামলার জন্য দায়ী। সেই সাথে এই গোষ্ঠী বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে ভারতে হামলা চালাচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে।

তবে প্রচারিত এসব সংবাদকে মিথ্যা-ভিত্তিহীন হিসবে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ভারতের গণমাধ্যম সবসময় দোষ চাপানোর চেষ্টা করে। এমন গুজব, বিশ্বাসের কোনো কারণ নেই। বিবেকবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ এসব ভিত্তিহীন তথ্য বিশ্বাস করবে না বলেও, মন্তব্য করেন তিনি।

এর আগে, সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৩ জন নিহত হন। ভারত সরকার একে নাশকতা বললেও, কে বা কারা এর জন্য দায়ী, তা নিশ্চিত করেনি। এখন পর্যন্ত হামলার দায়ও স্বীকার করেনি কেউ।

দিল্লিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ভারত নিজেরাই ঘটিয়েছে, বলছেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ খান সাইফ। বাংলা এডিশনকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ভারতের বোমা হামলা তারা নিজেরাই করেছে। দেশটির মূল টার্গেট বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করা। এই হস্তক্ষেপ কিভাবে করবে, সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই ভারত জঙ্গি নাটক সাজিয়েছে।

তিনি আরও জানান, ভারত যতবারই অন্যদেশের সাথে সংঘাতে জড়িয়েছে ততবারই তারা এসব পরিকল্পনা করে। তারপর, ওই দেশের ওপর দায় চাপিয়ে হামলা চালায়। তবে, যতবারই তারা ষড়যন্ত্র করেছে, ততবারই তারা ব্যর্থ হয়েছে বলেও জানান সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা।

অন্যদিকে, সাবেক সেনা কর্মকর্তা হাসিনুর রহমান বীর প্রতিক বাংলা এডিশনকে বলেন, ভারতের ষড়যন্ত্র এবং দেশের নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলায়, এই মুহূর্তে একটি সার্বভৌমত্ব চুক্তি করা প্রয়োজন পাকিস্তান, চীন ও তুরস্ক সঙ্গে। যদি কারও প্রতি ভারত হুমকি দেয়, আক্রমণ করে, তাহলে এই ঐক্যবদ্ধ দেশগুলোও ভারতকে আক্রমণ করবে। এটা এখন জনদাবি, বলছেন হাসিনুর রহমান।

তিনি আশংকা করেন, ভারত কাশ্মীরে যেভাবে নিজেদের লোক নিজেরা মেরেছে, এমন অপকর্ম আবার করে বাংলাদেশের ওপর দোষ চাপাবে। তবে, ভারতের এসব অপকর্মের জবাব দিতে, এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশের সর্বস্তরের মানুষ ঐক্যবদ্ধ রয়েছে বলেও, আশা ব্যক্ত করেন সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা।

ভারতের আধিপত্য বন্ধে সকলকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। মুসলিম সেজে কোনো ভারতীয় গুপ্তচর যাতে দেশে ঢুকতে না পারে, সেদিকে কড়া নজর রাখারও আহবান তাদের।

বিস্তারিত ভিডিও লিংকে: https://www.youtube.com/watch?v=n3DANbYF080



banner close
banner close