বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতায় প্রার্থীর ১০ থেকে ২০ কোটি টাকা না থাকলে নির্বাচনে জামানত বাজেয়াপ্ত হবে বলে মনে করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘এই যে আমরা গণতান্ত্রিক রূপান্তরের কথা বলি, সংসদে ৩০০ জন যাবেন, এখানে কয়জনের ২০ কোটি টাকা আছে? ২০ কোটি টাকা না থাকলে তো কেউ নির্বাচন করতে পারবেন না। বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতায় অন্তত ১০ থেকে ২০ কোটি টাকা না হলে কেউ নির্বাচন করতে পারবেন হয়তো, কিন্তু জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।’
এই বাস্তবতায় যাদের কাছে কালো টাকা আছে, তাদেরই সুযোগ আছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার।
তিনি বলেন, ‘কারো থেকে যদি টাকা নিয়ে নির্বাচন করা হয়, তাহলে তো নির্বাচিত হয়ে আসার পর আপনাকে তার স্বার্থ বাস্তবায়ন করতে হবে। সে জন্য আমাদের বারবার চিন্তা করতে হয় নির্বাচন করবো কী করবো না। আর নির্বাচনই বা কিভাবে করব...মানুষ টাকা ছাড়া ভোট দেবে কি না।’
তিনি আরো বলেন, জোহরান মামদানির কথা অনেকে বলেন যে সম্ভব। এটা এক্সেপশনাল কেস। এটা তো ৩০০ আসনে ঘটা সম্ভব না।
আসিফ বলেন, ‘২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের আউটকামের বিষয় নিয়ে আলাপ আসে, তাহলে আমরা তো গণ-অভ্যুত্থানের পর পর তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছিলো সংস্কার, বিচার এবং গণতান্ত্রিক রূপান্তর। বিচারের বিষয়ে আমি যতটুকু অবগত আছি, বিচারের অগ্রগতি হচ্ছে। আগামী ১৩ নভেম্বর একটা রায়ও হওয়ার কথা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ফ্যাসিবাদী শক্তি ঢাকায় আবার লকডাউন ডেকেছে।
অন্যদিকে যদি সংস্কারের কথা বলি, আমরা দেখেছি যারা সংস্কারের কথা বেশি বলত, কিন্তু কেন জানি তারা সংস্কারবিরোধী রাজনীতিতে ঢুকে গেছে। আমরা আসলে জানি না, তাদের এই সংস্কারবিরোধী রাজনীতির আউটকামটা আসলে তাদের জন্য কী। আমাদের দেশের জন্য তো অবশ্যই ক্ষতিকর। কিন্তু তাদের জন্য এটা কিভাবে সুফল বয়ে আনছে সেটা আমি জানি না।’
আরও পড়ুন:








