বৃহস্পতিবার

১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩ পৌষ, ১৪৩২

‘চিড়িয়াখানায় প্রাণীগুলোর প্রতি মানবিক আচরণ করা হয় না’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২ নভেম্বর, ২০২৫ ১৮:৫৭

শেয়ার

‘চিড়িয়াখানায় প্রাণীগুলোর প্রতি মানবিক আচরণ করা হয় না’
ছবি: সংগৃহীত

চিড়িয়াখানায় প্রাণীগুলোর প্রতি মানবিক আচরণ করা হয় না বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

রবিবার রাজধানীর ফার্মগেটের বাংলাদেশ তুলা উন্নয়ন বোর্ডের হলরুমে ‘বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার বর্তমান অবস্থা ও উন্নয়ন পরিকল্পনা’শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় চিড়িয়াখানাকে শুধু রাজস্ব বা বিনোদনের মানদণ্ড ভাবা উচিত হবে না। চিড়িয়াখানা দেশের বিশেষ পরিচয়ের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে পারে।

তিনি বলেন, চিড়িয়াখানা এখন যে সংকটের মধ্যে রয়েছে—তার সমাধান কোনো একক ব্যক্তি, এমনকি ডিজি বা পরিচালক একা চাইলে করাও সম্ভব নয়, কারণ এ সমস্যা বহু বছর ধরে চলে আসছে। তাই অধিদপ্তর, চিড়িয়াখানার কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আজ অনেক পরামর্শ পাওয়া গেছে যা নিজেরা মিটিং করলে হতো না। আমরা আগামীতে এমন একটি কমিটি করব যেখানে সব শ্রেণির অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। প্রয়োজনে প্রতি মাসে সবাই বসে চিড়িয়াখানার উন্নয়নে কী কী করা যায়, তা নির্ধারণ করা হবে।

উপদেষ্টা বলেন, চিড়িয়াখানার প্রাণীদের সংরক্ষণ পরিকল্পনা শুধু চিড়িয়াখানার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা ঠিক নয়। কোনো কোনো প্রাণীকে উপযুক্ত প্রাকৃতিক পরিবেশে স্থানান্তর করা যায় কি না—সেটিও বিবেচনায় নিতে হবে। যেসব প্রাণীর স্বাভাবিক মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে এসেছে—সেগুলোকে চিড়িয়াখানায় রাখব কি না বা অন্য কোথাও স্থানান্তর করা হবে কি না— সে বিষয়েও আলাপ-আলোচনা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, অনেক সময় বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান চিড়িয়াখানার প্রাণীদের নিয়ে গবেষণার আগ্রহ প্রকাশ করে। প্রাণীকে গবেষণার জন্য বাইরে পাঠানো হবে না। যদি গবেষণা করতে হয়, তবে গবেষকদের চিড়িয়াখানায় এসে—সেখানকার পরিবেশের মধ্যেই গবেষণা করতে হবে।



banner close
banner close