বুধবার

১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২ পৌষ, ১৪৩২

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য কড়া শর্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১ নভেম্বর, ২০২৫ ০৬:৩৮

শেয়ার

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য কড়া শর্ত

মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে রিক্রুটিং এজেন্টদের জন্য নতুন করে কড়া শর্ত আরোপ করেছে দেশটির সরকার। অন্তত তিনটি দেশে কমপক্ষে ৩ হাজার কর্মী পাঠানো, নূন্যতম ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এজেন্সিগুলোকে। এমন শর্তকে অবাস্তব ও অযৗক্তিক বলছেন জনশক্তি রপ্তানিকারকরা। সিন্ডিকেট চক্রের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত বলেও অভিযোগ তাদের।

ভালো বেতন কাঠামো, স্বাছন্দের জীবন-যাপন, অনেকটা এদেশের মতোই নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া এসব কারণে বাংলাদেশি কর্মীদের পছন্দের গন্তব্যের তালিকায় মালয়েশিয়া। দেশটিতে বিভিন্ন পেশায় বাংলাদেশি কর্মজীবী সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি।

সবশেষ বছরখানেক আগে কলিং ভিসায় কাজের খোঁজে মালয়েশিয়ায় যায় পৌনে ৫ লাখ বাংলাদেশি। তবে সেখানে কর্মী নিয়োগে প্রতিবারই অনিয়মের অভিযোগ উঠে। যার মধ্যে সবচে বেশি- সিণ্ডিকেট চক্রের মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, দেশটিতে গিয়ে কাজ না পেয়ে মানবেতর জীবন।

২০২১ সালে চালু হওয়া মালয়েশিয়ার কর্মী পাঠানোর কাজে যুক্ত হয় ১০০ রিক্রুটিং এজেন্সি। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ৫-৬ লাখ টাকা নিয়েও দেশটিতে যেতে পারেনি কমপক্ষে ১৮ হাজার।

এবার দেশটিতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী পাঠানো ক্ষেত্রে নতুন করে বেশ কিছু শর্ত আরোপ করেছে মালয়েশিয়া সরকার। এতে বলা হয়, রিক্রুটিং এজেন্টদের কর্মী পাঠাতে হলে- অন্তত তিনটি দেশে নূন্যতম ৫ বছরের কর্মী পাঠানোর অভিজ্ঞতা, মালয়েশিয়ায় কমপক্ষে ৩ হাজার কর্মী পাঠানোর রেকর্ড থাকতে হবে। এছাড়া ১০ হাজার বর্গফুটের স্থায়ী অফিসের শর্তকে অপ্রয়োজনীয় মনে করছেন শক্তি রপ্তানিকারকরা।

এদিকে এসব শর্তকে অযৗক্তিক বলছেন, রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকরা। সেখানকার বাংলাদেশি শ্রমবাজার এখনও পুরোনো সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের (বায়রা) সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব ফখরুল ইসলাম বলেন, সিন্ডিকেটের যেসব সদস্য আছে, সেই ১০০ জনই কিন্তু ওই তিন হাজারের বেশি কর্মী পাঠাতে পারছেন। অনেকেই কিন্তু এটা পূরণ করতে পারছেন না। তাই আমরা মনে করি, সরকারের এই বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া উচিত।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের (বায়রা) সাবেক মহাসচিব এম. এ. এইচ. সেলিম বলেন, তারা যে শর্তগুলো দিয়েছে, আমাদের দেশে রিক্রুটিং এজেন্সি কত স্কয়ারফুট জায়গায় হবে, সেটা বাংলাদেশ সরকার নির্ধারণ করবে। এটা তো মালয়েশিয়ান সরকার ঠিক করতে পারে না। অর্থাৎ, এই শর্তগুলো আমাদের দেশের যারা সিন্ডিকেটের সদস্য ছিলেন, তারাই দিয়েছেন।

এসব শর্ত পূরণে সক্ষম এজেন্সিগুলোকে আগামী ৭ নভেম্বরের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় জমা দেয়ার কথা জানিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার।



banner close
banner close