বুধবার

১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২ পৌষ, ১৪৩২

গুলশানের অভিজাত বারে মারধরে ব্যবসায়ীর মৃত্যু; ম্যানেজারসহ সাতজন রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর, ২০২৫ ১০:২৮

শেয়ার

গুলশানের অভিজাত বারে মারধরে ব্যবসায়ীর মৃত্যু; ম্যানেজারসহ সাতজন রিমান্ডে
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর গুলশানে একটি অভিজাত বারের বাউন্সার ও কর্মচারীদের মারধরে ব্যবসায়ী দবিরুল ইসলাম নিহতের ঘটনায় সাতজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালত আসামিদের রিমান্ডের আদেশ দেন। আদালতে গুলশান থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় প্রথমে হত্যাচেষ্টা মামলা হয়। পরে ভিকটিম মারা গেলে তা হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।

এর আগে ঢাকা ও কুমিল্লায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির পুলিশ। গ্রেপ্তার আসামিদের বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। রিমান্ড শুনানি শেষে আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রত্যেকের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- শামীম আহমেদ, রাজু আহমেদ, তোফাজ্জেল হোসেন, মো. রাকিব, মো. কাউসার, রুবেল মাহমুদ ও প্লাবন মিয়া। এদের মধ্যে শামীম আহমেদ বারটির ব্যবস্থাপক এবং তোফাজ্জেল হোসেন গ্রাহক। বাকি পাঁচজন বারের বাউন্সার ও কর্মচারী।

গত ১৪ অক্টোবর রাতে গুলশান-এক নম্বরের ব্লিস আর্ট লাউঞ্জ লিমিটেড বার ও রেস্টুরেন্টের সামনে দবিরুল ইসলাম নামের ওই ব্যবসায়ীর ওপর হামলা হয়। নিহত দবিরুলের স্ত্রী নাসরিন আক্তার বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, জমি কেনাবেচার ব্যবসার সাথে যুক্ত দবিরুল ইসলাম ১৪ অক্টোবর রাত তিনটার দিকে কাজ শেষে গুলশান-এক নম্বরের প্লট ৫১এ ব্লিস আর্ট লাউঞ্জ লিমিটেড রেস্টুরেন্টে যান। পরে পরিবারের সদস্যরা রাতে তার ফোন বন্ধ পান। পরদিন ভোরে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে জানতে পারেন, তিনি গুলশান-এক নম্বরের একটি ভবনের পেছনের রাস্তায় পড়ে আছেন। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর তার মৃত্যু হয়।

একাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা ও শোনা যায়, বারের ব্যবস্থাপক শামীমের সাথে উত্তেজিত হয়ে কথা বলছিলেন দবিরুল। একপর্যায়ে দবিরুল শামীমকে একটি থাপ্পড় দেন। পরে শামীম ও তার সাথে থাকা কয়েকজন মিলে দবিরুলকে মারধর করেন।



banner close
banner close