আজ (২৮ অক্টোবর ২০২৫) কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে যে বিপুল সংখ্যক জামিন প্রদান করায় সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের তিন জন মাননীয় বিচারপতি মহোদয়কে শো-কজ করে তাদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন মাননীয় প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ মহোদয়। সংবাদে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার জনাব মোঃ মোয়াজ্জেম হোছাইন হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে এবং ফোন করে তিন জন বিচারপতি যথাঃ মাননীয় বিচারপতি জনাব আবু তাহের সাইফুর রহমান, মাননীয় বিচারপতি জনাব মোস্তফা জামান ইসলাম ও মাননীয় বিচারপতি জনাব জাকির হোসেন মহোদয়কে এই নোটিশ সম্পর্কে অবহিত করেছেন।
বাস্তবে মাননীয় প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ মহোদয় উল্লেখিত তিন জন মাননীয় বিচারপতি মহোদয়কে কোনো শো-কজ বা কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেননি বরং প্রশাসনিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কেবলমাত্র মামলা সংক্রান্ত কিছু তথ্য চেয়েছেন যা আদালত ব্যবস্থাপনার অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ার একটি নিয়মিত দাপ্তরিক বিষয়।
সুতরাং উক্ত সংবাদে ব্যবহৃত তথ্যে মূল বিষয়টি বিকৃত ও ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। এছাড়া, উক্ত বিষয়টি সম্পূর্ণ গোপনীয় একটি যোগাযোগ (privileged court communication)।
এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের প্রতি বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশনা হচ্ছে- প্রতিটি গণমাধ্যম আদালত সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পূর্বে বিষয়টির সত্যতা যাচাই করে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সংবাদ প্রচার করবে যাতে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ থাকে এবং জনগণ বিভ্রান্ত না হয়।
আরও পড়ুন:








