বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে হেফাজতে থাকা সাবেক ও বর্তমান ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
বুধবার সকাল সোয়া সাতটায় বাংলাদেশ জেল প্রিজন ভ্যানে করে কড়া নিরাপত্তার মাধ্যমে তাদের আদালতে আনা হয়। এ সময় সেখানে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও এপিবিএনের বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন ছিলেন।
এর আগে গত আট অক্টোবর বিগত সরকারের শাসনামলে বিরোধী লোকদের গুম করে র্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) ও জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেন্টারে (জেআইসি) সেলে বন্দি রেখে নির্যাতনের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান করে ৩০ জনকে আসামি করা হয়।
চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-এক এসব অভিযোগ আমলে নেন। একইসাথে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিপুল সংখ্যক মানুষ গুমের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে শতাধিক মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। কাউকে কাউকে হত্যার পর মরদেহ গুম করে ফেলার অভিযোগ রয়েছে।
গত বছরের পাঁচ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বন্দিশালা থেকে মুক্তি পান গুমের শিকার ব্যক্তিরা। তাদের মধ্যে অন্যতম ব্যারিস্টার মীর আহমদ বিন কাশেম, আবদুল্লাহিল আমান আযমী প্রমুখ। এসব ভুক্তভোগীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গুমের মামলা দুইটি হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। এরই ধারাবাহিকতায় আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন প্রসিকিউশন।
আরও পড়ুন:








