সাতটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ মোটরসাইকেল চোর চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি তেজগাঁও বিভাগ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, চাঁদ মিয়া, জাহিদ মাতব্বর, দিপু মালাকার। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে সাতটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানাধীন মানিক মিয়া এভিনিউ রাস্তার পূর্ব প্রান্তে পুলিশ বক্সের সামনে পাকা রাস্তার পাশ থেকে গত পাঁচ আগস্ট ২০২৫ তারিখ দুপুর আনুমানিক দুইটা থেকে দুইটা ৪৫ মিনিটের মধ্যে মো. ফাহাদ এর নিজ নামীয় একটি সবুজ রঙের ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল অজ্ঞাতনামা চোর বা চোরেরা চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় চুরির মামলা রুজু করা হয়।
উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে ডিবি তেজগাঁও বিভাগের একটি টিম ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাত আনুমানিক আটটার দিকে নরসিংদী জেলার পলাশ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সাথে জড়িত চাঁদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে চাঁদ মিয়া জানায়, চোরাইকৃত মোটরসাইকেলটি তার সহযোগী জাহিদ মাতব্বর এর সহায়তায় চুরি করে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার অন্তর্গত দিপু মালাকারের কাছে বিক্রি করা হয়। চাঁদ মিয়ার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আভিযানিক দল টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে দিপু মালাকারকে বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক দুইটার দিকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার বসতঘরের সামনের গ্যারেজ থেকে মামলার চোরাইকৃত সবুজ রঙের মোটরসাইকেলসহ মোট সাতটি বিভিন্ন মডেলের চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে, দিপু মালাকার ও চাঁদ মিয়ার তথ্যের ভিত্তিতে মোহাম্মদপুর থানাধীন নবীনগর হাউজিং এলাকা থেকে তাদের সহযোগী জাহিদ মাতব্বরকে ১৬ অক্টোবর সকাল আনুমানিক ছয়টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, জাহিদ মাতব্বর মোটরসাইকেলের মালিককে অনুসরণ করত এবং চাঁদ মিয়া মালিক দূরে সরে গেলে সুকৌশলে মোটরসাইকেলের লক ভেঙে চুরি করতো। এরপর তারা টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকায় চোরাই মোটরসাইকেল কেনাবেচার সাথে জড়িত দিপু মালাকারের কাছে বিক্রি করত।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন:








