দেশের বিবেক আজ স্তব্ধ। গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের উপর নগ্ন হামলা। দৈনিক ভোরের চেতনার স্টাফ রিপোর্টার এস এম হায়াত উদ্দিনকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকার মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর আজ উত্তাল হয়ে উঠেছে। সাংবাদিক হত্যার বিচার ও খুনিদের দ্রুততম সময়ে গ্রেফতারের দাবিতে বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব (কেন্দ্রীয় কমিটি)-এর ব্যানারে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিকতা করতে গিয়ে বারবার বর্বতার শিকার হচ্ছে গণমাধ্যম কর্মীরা। সাংবাদিক হায়াত উদ্দিনের বীভৎস ও ক্ষত-বিক্ষত ছবি সম্বলিত ব্যানার হাতে নিয়ে শত শত সাংবাদিক ও স্থানীয় জনতা এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
"এটি কেবল একটি হত্যা নয়, সত্যের কণ্ঠরোধের চেষ্টা!"
মানববন্ধন থেকে বক্তারা হুঙ্কার দিয়ে বলেন, "সাংবাদিক হায়াত উদ্দিনকে যেভাবে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়। এই হত্যাকাণ্ড কেবল একজন ব্যক্তির জীবন কেড়ে নেয়নি, এটি স্বাধীন সাংবাদিকতার উপর সরাসরি হামলা।" তাঁরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে সাংবাদিক সমাজ আরও কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।বক্তারা আরও উল্লেখ করেন, বর্তমানে সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিরাপত্তাহীনতার শিকার হচ্ছেন। বিভিন্ন মহল থেকে আসছে হুমকি-ধমকি। এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারা জড়িত, কেন এই নির্মমতা—তা দ্রুত জনসম্মুখে আনতে হবে।
খুনিদের "ফাঁসির দড়ি" দেখার দাবি
মানববন্ধনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা নিহত সাংবাদিক হায়াত উদ্দিনের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। তাঁরা দাবি করেন, এই বর্বর খুনিদের অবশ্যই আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দড়ি দেখতে হবে। সাংবাদিক সমাজ দেখতে চায়, রাষ্ট্রের কাছে সাংবাদিকের জীবনের মূল্য কতটুকু!
আরও পড়ুন:








