দেশের ৪৮ জেলায় একযোগে শুরু হয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ‘সিগনেচার প্রকল্প’ ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। রোববার (৫ অক্টোবর ২০২৫) ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে এর উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘দেশের ৪৮ জেলায় শিক্ষিত কর্মপ্রত্যাশী যুবদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৪র্থ ব্যাচে অক্টোবর-ডিসেম্বর'২০২৫ মেয়াদে তিন মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড–১), মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার একান্ত সচিব মো. আবুল হাসান (যুগ্মসচিব) এবং বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ আলম। সভাপতিত্ব করেন প্রকল্প পরিচালক মো. মানিকহার রহমান (যুগ্মসচিব)।
অতিরিক্ত সচিব মো. ইকবাল হোসেন জানান, খুলনা জেলায় মাত্র ৭৫টি আসনের বিপরীতে ১,০৭৩ জন ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন, যা প্রকল্পটির প্রতি ব্যাপক আগ্রহের ইঙ্গিত দেয়।
চলতি ব্যাচে দেশের ৪৮ জেলায় মোট ৩,৬০০ প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। উদ্বোধনী অনু ষ্ঠানে পূর্ববর্তী ব্যাচের দুইজন সফল প্রশিক্ষণার্থী এবং নতুন দুইজন অংশগ্রহণকারী অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।
প্রকল্পের আওতায় এখন পর্যন্ত তিনটি ব্যাচে ৭,২০০ জন (এর মধ্যে ৪০ শতাংশ নারী) প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। তাদের মধ্যে ৪,৫৬৭ জন বা ৬৩ শতাংশ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসে কাজ করে প্রায় ১০ কোটি টাকার সমপরিমাণ আয় করেছেন।
ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেড প্রশিক্ষণোত্তর বিনামূল্যে ভার্চুয়াল মেন্টরিং ক্লাস পরিচালনা করছে, যাতে প্রশিক্ষণার্থীরা আয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারেন।
অক্টোবর-ডিসেম্বর ব্যাচে অংশ নিতে অনলাইনে ৯২,৭৬৩ জন আবেদন করেন। এর মধ্যে ৪০,৭৫৮ জন ভর্তি পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হন এবং লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে ৩,৬০০ জনকে চূড়ান্তভাবে বাছাই করা হয়। প্রতিদিন আট ঘণ্টা করে মোট ৬০০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
প্রশিক্ষণকালীন সময়ে প্রতিদিন ২০০ টাকা যাতায়াত ভাতা ও খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীরা সনদপত্র পাবেন।
এ ছাড়া ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেড নিজস্ব উদ্যোগে দেশের ৬৪ জেলায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তরুণদের নিয়ে ই-কমার্স ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংসহ বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যেখানে বর্তমানে ১,৬০০ জনের বেশি কাজ করছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এ প্রকল্প দেশের যুব সমাজকে দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছে এবং ডিজিটাল অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
আরও পড়ুন:








