রবিবার

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

চীন থেকে দেড় হাজার কোটি টাকার ইঞ্জিন অনুদান পাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৪ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৩৩

শেয়ার

চীন থেকে দেড় হাজার কোটি টাকার ইঞ্জিন অনুদান পাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ রেলওয়ের ইঞ্জিন সংকট নিরসনে চীন থেকে ২০টি মিটারগেজ ইঞ্জিন অনুদান হিসেবে পাচ্ছে সরকার। এসব ইঞ্জিনের সম্ভাব্য মূল্য দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি হলেও পুরো ব্যয় বহন করবে চীন। প্রকল্পের খসড়া প্রস্তাব ইতোমধ্যে অনুমোদন পেয়েছে। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে আগামী দুই বছরের মধ্যে ইঞ্জিনগুলো দেশে পৌঁছানোর আশা করছে রেলওয়ে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, মিটারগেজ ইঞ্জিনের সংকট এতটাই প্রকট যে প্রায় প্রতিদিনই যাত্রী ও মালবাহী ট্রেনের একাধিক যাত্রা বাতিল করতে হচ্ছে। শুধু গত জুন মাসে রেলের পূর্বাঞ্চলে লোকাল, মেইল, কমিউটার ও মালবাহী মিলে ৪৩৫টি ট্রেন চলাচল বাতিল হয়। চট্টগ্রাম বন্দরে ইঞ্জিনের অভাবে এক হাজারের বেশি কনটেইনার পড়ে আছে। এমন পরিস্থিতিতে দরপত্রের জটিল প্রক্রিয়ায় নতুন ইঞ্জিন আনতে গেলে দুই থেকে তিন বছর সময় লাগত। কিন্তু অনুদানের ক্ষেত্রে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যেই ইঞ্জিন পাওয়া সম্ভব হবে।

এর আগে ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ভারত বিনা মূল্যে বাংলাদেশকে ৩০টি পুরোনো ব্রডগেজ ইঞ্জিন দিয়েছে। তবে সেগুলো ছিলো বিদ্যুতায়িত রেলপথে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়া ইঞ্জিন। অন্যদিকে, চীন প্রথমবারের মতো ইঞ্জিন দিচ্ছে। আগে দেশটি থেকে কয়েক দফায় যাত্রীবাহী কোচ আমদানি করা হলেও ইঞ্জিন আনার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের নেই। এ অনুদান কার্যকর হলে চীন হবে বাংলাদেশের রেলের দশম ইঞ্জিন নির্মাতা দেশ।

রেলপথ মন্ত্রণালয় প্রকল্পটির সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ইঞ্জিন কেনা, পাঁচ বছরের খুচরা যন্ত্রাংশ সরবরাহ ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ অন্তর্ভুক্ত। এর মধ্যে চীন বহন করবে এক হাজার ৫৯১ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সরকারকে ব্যয় করতে হবে প্রায় ৪৪ কোটি টাকা, যা মূলত শুল্ক ও কর বাবদ।

গত মার্চে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফরে বিষয়টি আলোচনায় আসে। এরপর চীন সরকার বাংলাদেশে নিযুক্ত দূতাবাসের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেয়।



banner close
banner close